কারাগারে যেমন আছেন নওয়াজ
সাধারণ কয়েদিদের মতো কষ্টে থাকতে না হলেও কারাগারে খুব একটা আরামদায়ক অবস্থায় নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিক কোনও কক্ষ পাননি তিনি, পেয়েছেন একটি টেলিভিশন-বিছানা আর ফ্যান। ‘বেটার ক্লাস’ বন্দি হিসেবে এইসব সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন তিনি। নওয়াজই প্রথম নন, এর আগেও একজন সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী একই প্রকোষ্ঠে ছিলেন।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘বেটার ক্লাস’ ক্যাটাগরির বন্দি হিসেবে নওয়াজ তার ঘরে একটি সাধারণ ফ্যান পেয়েছেন। সঙ্গে পেয়েছেন বিছানা আর ২১ ইঞ্চি টেলিভিশন। কয়েক বছর আগে পরিবর্তিত পাঞ্জাবের নতুন কারাবিধি অনুসরণ করে নওয়াজকে এসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কারা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের খবরে বলা হয়েছে, উপনিবেশিক যুগের মতো করে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে আর কারাবন্দিদের জন্য ‘এ’, ‘বি’ আর ‘সি’ ক্যাটাগরি নেই। কয়েক বছর আগে লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশনায় পাঞ্জাবের কারাবিধি পরিবর্তিত হয়। তখন থেকে বন্দিদের ‘অর্ডিনারি ক্যাটাগরি’ ও ‘বেটার ক্যাটাগরি’ নামের দুইটি ভাগে বিভক্ত করে সুবিধা দেওয়া শুরু হয়।
নতুন ক্যাটাগরিতে একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে জন্য আবেদনের মধ্যে দিয়ে ‘বেটার ক্যাটাগরি’র বন্দির মর্যাদা পেয়েছেন নওয়াজ। তবে নতুন ওই কারাবিধি অনুযায়ী এর বাইরে সাবেক প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কারও অতিরিক্ত কোনও সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নাই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নওয়াজকে শুক্রবার আদিয়ালা কারাগারের যে প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে তাতে এক সময় থাকতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে।
গত ৬ জুলাই অ্যাভেনফিল্ড অ্যাপার্টমেন্টেসে থাকা ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়মের বিরুদ্ধে রায় দেয়। ঘোষিত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার দায়ে নওয়াজকে ১০ বছর ও তার বাবাকে সম্পদ গোপনে সহায়তা করার জন্য মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে মরিয়মকে আরও এক বছর সাজা দেয় আদালত।
মরিয়মের স্বামী ও নওয়াজের মেয়ের জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদরকেও আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছে। সফদর আদিয়ালা জেলে অন্তরীণ রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনও আল আজিজিয়া স্টিল ও হিল মেটাল সংক্রান্ত মামলা, ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে বিনিয়োগ সংক্রান্ত মামলাসহ আরও কয়েকটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন।