ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রেই ধ্বংস বিমান, দাবি করল কানাডা, প্রমাণ চেয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ তেহরানের
নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান, এ নিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন তত্ত্বই সামনে আসছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি, ট্রুডো এটাও বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভাবেই ঘটেছে এটা। ট্রুডোর বক্তব্যকে সমর্থন করে তদন্তের দাবি তুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।
ট্রুডোর এই দাবির পরই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে ইরান। তারা জানিয়েছে, ‘পারলে সমস্ত প্রমাণ দিক কানাডা। এ ব্যাপারে তথ্য আদান প্রদান করুক তারা!’
১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে গত বুধবার তেহরান থেকে উড়়েছিল ইউক্রেনের পিএস৭৫২ বিমানটি। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেটি। বিমানে ৮২ জন ইরানি, ১১ ইউক্রেনীয়, ১০ সুইস, ৪ আফগান, ৬৩ কানাডীয়, ৩ ব্রিটিশ এবং ৩ জন জার্মান নাগরিক ছিলেন। বিমানে থাকা সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনার কারণটিই সামনে আসে। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হানার বিষয়টিও জোরালো হতে শুরু করে। প্রথমে ইউক্রেন, পরে আমেরিকা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবারই মার্কিন সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে ইরান ‘ভুলবশত’ ইউক্রেনের বিমানটি ধ্বংস করেছে। তারা আরও দাবি করে, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে ‘সন্দেহ’ রয়েছে। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান ভেঙে পড়ার বিষয়টি ইরান প্রথম থেকেই উড়িয়ে দিয়ে আসছে।
এই টানাপড়েনের মধ্যেই ইরান বিবৃতি জারি করে বোয়িংকে এই ঘটনার তদন্তে আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বিমানে যে সব দেশের যাত্রীরা ছিলেন, সেই সব দেশকেও তদন্ত করার জন্য অনুমতি দিয়েছে তারা। প্রথম থেকেই আমেরিকা-সহ অন্য দেশগুলোকে এই তদন্তে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল ইরান। তবে এ বার তদন্তে আহ্বান জানানো হয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)-কে। টুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে এমনই জানিয়েছে এনটিএসবি। তারা আরও জানিয়েছে, ইরানের নেতৃত্বেই তদন্ত চালানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমী দেশগুলো থেকে চাপ বাড়তে থাকায় কিছুটা সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে ইরান।