‘ভারত একটা সার্জিকাল স্ট্রাইক চালালে আমরা ১০টা চালাব’
ভারত যদি একটা সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায়, তবে পাকিস্তান দশটা চালাবে। শনিবার লন্ডনে গিয়ে এমনই হুমকি দিলেন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো ঘটনা ঘটলে পাকিস্তানও যে তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি গফুর। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কেউ যদি পাকিস্তানকে দুর্বল মনে করে, তা হলে খুব ভুল করবে। পাকিস্তানের ক্ষমতা সম্পর্কে তাদের সন্দেহটা ভুল।”
ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দেবেন বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্ষমতায় আসার পর তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ভারত যদি এক পা এগোয়, পাকিস্তান দু’পা এগোবে। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানো, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন থেকে শুরু করে ভারতীয় জওয়ানের মুণ্ড কেটে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ইমরানের পূর্ববর্তী জমানায় সীমান্তের ছবিটা যেমন ছিল, ইমরান আসার পরেও তার বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। বার বার ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গি অনুপ্রবেশও বন্ধ হয়নি। প্রতিহত করতে ভারত পাল্টা হামলা চালিয়েছে। হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল পাকিস্তান যদি এ সব এখনই বন্ধ না করে তা হলে ফের সার্জিকাল স্ট্রাইকের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে তারা।
২০১৬-য় উরি হামলার পরই সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত। পাক সীমান্তে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। বহু জঙ্গি নিকেশ হয়েছিল সেই অভিযানে। তবে সার্জিকাল স্ট্রাইকের ঘটনা পাকিস্তান বার বারই অস্বীকার করে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সেই ঘটনা থেকেও পাকিস্তান শিক্ষা নেয়নি। মার দিলে পাল্টা মার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই ঘটনার পরেও সন্ত্রাসবাদে মদত জুগিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে অস্থিরতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ নিয়েই সরব হয়েছিল ভারত। সেখানে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
এই অবস্থায় গফুরের এই ধরনের উস্কানি মূলক মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।