Main Menu

ভারত যুদ্ধ বাধালে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন, বাংলাদেশ কি করবে?

+100%-

file

পাক ভারত যুদ্ধ বাধলে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে আবারো অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেছে।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে,চীন-পাকিস্তান করিডোর যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য ভারত জোড় তৎপরতা চালাচ্ছে।পাকিস্তানের গিলগিট বাল্টিস্তানে কয়েকশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন।চীনের বিনিয়োগকৃত এই মাল্টি প্রজেক্ট যুদ্ধ বাধিয়ে থামাতে চায় ভারত।তাই নিজেদের স্বার্থেই চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাদ দিয়ে এই খবর দিয়েছে ডেইলি পাকিস্তান ।

উল্লেখ্য পাকিস্তান নিয়িন্ত্রিত কাশ্মীরে চীন-পাকিস্তান করিডোর নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।এতে চীন বিনিয়োগ করেছে ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালের মধ্যে এই মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।ধারনা করা হচ্ছে এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন সম্ভব হলে পালটে যাবে কাশ্মীরীদের ভাগ্য।চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই করিডোর নির্মাণ সম্ভব হলে চীনের নাগরিকদের মতই পালটে যাবে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভাগ্য।কারন এতে সরাসরি চীনের সাথে পাকিস্তানের সংযোগ তৈরী হবে।

itihas-bg20160805052546
পাক ভারত যুদ্ধে কার পক্ষে থাকবে বাংলাদেশের মানুষ ?

ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে হামলার হুমকি এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পালটা হামলার হুমকির প্রেক্ষিতে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।যেকোন সময় বেধে যেতে পারে যুদ্ধ।কারগিল যুদ্ধটি ঠিক এভাবেই বেধে ছিল।তাতে শেষ পর্যন্ত দুই দেশই জয়ের দাবি করলেও কার্যত পক্ষে জয় হয় পাকিস্তানের।ঐ যুদ্ধে পাকিস্তান কার্গিল দখল করে ,এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অনেক ভেতরে অগ্রসর হতে সক্ষম হয়।
১৯৯৮ সালে তখন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার ভারতের পক্ষে থাকার এবং সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিল।যদিও এবারের হামলার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার মন্তব্য পাওয়া যায় নি।তবে সামাজিক মিডিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষে অনেক মন্তব্য লক্ষ করা গেছে।
বিশেষ করে ফেসবুকে অনেকেই প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন জানাচ্ছেন এবং ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।কাশ্মীরের মানুষের প্রতি ভারতের বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদ করছেন বাংলাদেশী মুসলিমরা।
দেশের হিন্দু সমাজে এই বিপরীত চিত্র লক্ষ করা গেছে।হিন্দুদের মধ্য থেকে প্রায় সকলেই ভারতকে সমর্থন করছেন,এবং পাকিস্তান কে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।তাদের দৃষ্টিতে কাশ্মীরীরা বিচ্ছিন্যতাবাদী জঙ্গি।অনেকে এবার এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলছেন কাশ্মীরীরা জঙ্গী কিংবা বিচ্ছিন্যতাবাদী হলে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধও প্রশ্ন বিদ্ধ হয়,কারন কাশ্মীরিরা বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের মতই স্বাধীনতাকামী।