প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ
ডেস্ক ২৪:: বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ১ জানুয়ারি থেকে বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই এ সনদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা নাসরিন বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র দিয়ে কোনো ফি নেওয়ার বিধান নেই। শুনেছি কতিপয় শিক্ষক আগে থেকেই এভাবে ফি নিয়ে আসছেন। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে উপজেলার ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি কিন্ডারগার্টেন থেকে ৭ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে মাত্র ২৫ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরের দিন থেকে উত্তীর্ণদের প্রশংসাপত্র দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা।
বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০-১২ জন শিক্ষার্থী জানায়, তাদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক প্রতিটি প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। টাকা ছাড়া কাউকেই প্রশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না।
ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছেলের প্রশংসাপত্র আনতে স্কুলে গেলে আমার কাছ থেকে হেডমাস্টার রফিক মিয়া ২০০ টাকা নিয়েছেন। ১০০ টাকায় দিতে বললে সনদপত্রই দেবেন না বলে হুমকি দেন।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ কেউ ৫০, ১০০, ২০০ করে আবার কেউ টাকা ছাড়াই প্রশংসাপত্র নিয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো ফায়দা নাই। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে যেসব অনুষ্ঠান হয় সেই খরচ জোগাতে একটি ফান্ড করা হয়েছে। সে জন্যই টাকা নেওয়া হচ্ছে।’
থানা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রশংসাপত্র দিতে তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল অহিদ বলেন, জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে না। যারা ইচ্ছে করে দেয় তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে।
সরিষারচর-নতুনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম বলেন, কয়েকজন টাকা দেয় নাই, কয়েকজন ইচ্ছা করে টাকা দিয়েছে।