Main Menu

বাঁশ খুলতেই ভেঙে পড়ল ঘাট

+100%-

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগরের কৃষি কার্যালয়ের পাশে নির্মাণাধীন ঘাটটি ভেঙে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জেলা পরিষদ জানায়, উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগরের কৃষি কার্যালয়সংলগ্ন তিতাস নদীর ধারে একটি ঘাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। এটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিকুল ইসলাম নামের একজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ৫ মার্চ ঘাটলাটি নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। ১৩ এপ্রিল ঘাটটি ভেঙে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটের ওপরের অংশটি স্তম্ভ (কলাম) থেকে ভেঙে পড়েছে। এতে ছয় ইঞ্চি পর পর রড দেওয়ার কথা থাকলেও ১২ ইঞ্চি পর পর রড দেওয়া রয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘ঠিকাদারের লোকজন কোনো রকমে সিমেন্ট-বালু দিয়ে ঘাটলা (ঘাট) দাঁড় করাইছে। আমাদের চোখের সামনেই এই কাজ করছে। আর এমন খারাপ কামের বাধা দেওয়ায় ঠিকাদারের লোকজন আমাদের বেশি কথা কইতে নিষেধ করছে।’

জেলা পরিষদের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বলেন, ‘টেনশন (চিন্তা) কইরেন না, ঠিকাদারকে দিয়ে পুরোটা আবার করিয়ে নেওয়া হবে। ঢালাই দেওয়ার ২০-২৫ দিন পর সেন্টারিংয়ের বাঁশ খুলতে হয়। তবে ঠিকাদারের লোকজন তার আগেই বাঁশ খুলে ফেলায় ঘাটলাটি ধসে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থাপনাটিতে রড কম দেওয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।’

ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা মিস্ত্রিরির দোষ। তাঁর ভুলের কারণে ঘাটলাটি ধসে পড়েছে। মনে হয়, মিস্ত্রি রড কম দিয়েছে। ঘাটলাটি আবার তৈরি করতে নতুন করে রড কিনেছি।’

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। পুরো জেলায় আড়াই হাজার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সব প্রকল্পের খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares