পাঠদানের অনুরোধ করায় আট ছাত্রকে বেত্রাঘাত
![+](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/plus.png)
![100%](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/100.png)
![-](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/minus.png)
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠদানের অনুরোধ করায় গতকাল বুধবার আটজন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষকেরা।
এর প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) স্মারকলিপি দিয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবম শ্রেণীর রিয়াজ উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, মাহবুব হাছান, রাহিম হোসেন ও রাশেদ আলম এবং অষ্টম শ্রেণীর আক্তার হোসেন ও মো. আশিক। আহত এক ছাত্রের নাম জানা যায়নি। আক্তার হোসেনকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ে আট ঘণ্টার স্থলে চার-পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানায়, ঠিকমতো পাঠদানের অনুরোধ করায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নিখিল চন্দ্র দাস ছাত্রদের বেত দিয়ে পেটান। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাত্র একটি বাড়ি (আঘাত) দিয়েছি, মনে হয় স্কুল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে নিজেরা শরীরে আঘাত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, একটি কক্ষে সরকারি বই রাখায় ক্লাস ঠিকমতো নেওয়া যাচ্ছে না, কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও বই সরিয়ে নিচ্ছে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন বলেন, জায়গা না থাকায় এসএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বই রাখা হয়েছে। কালই (বৃহস্পতিবার) বই সরিয়ে নেওয়া হবে। ইউএনও জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, ‘আমি ছাত্রদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’