Main Menu

দুই হাজার বিঘা জমির বোরো চাষ হুমকিতে

+100%-

প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ঢোলভাঙ্গা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওই এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে নদীটি খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।


স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরের থানা এলাকা থেকে শুরু হয়ে ঢোলভাঙ্গা নদীটির একটি অংশ বাঞ্ছারামপুর, বাঁশগাড়ি, সফিরকান্দি, আলীপুর, মনাইখালি, খোশকান্দি, কানাইনগর, ধারিয়ারচর, নগরীরচর, মানিকপুর, চারআনী, মায়ারামপুরের পাশ দিয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির অপর অংশ ভিটিঝগড়ারচর, দুর্গারামপুর, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর, বাখরনগর, মরিচাকান্দির পাশ দিয়ে মেঘনায় পতিত হয়েছে।


উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢোলভাঙ্গার দুই অংশে প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় নদীর দুই ধারে বোরো চাষের প্রায় অর্ধশত সেচ প্রকল্প রয়েছে। এসব স্থানে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে দুই দিকে নদীটির প্রায় ছয় কিলোমিটার পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। বাঞ্ছারামপুর, সফিরকান্দি, মনাইখালি, জগন্নাথপুর, ভিটিঝগড়ারচর, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর, বাখরনগর এলাকায় নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। কয়েকটি স্থানে বিকল্প হিসেবে গভীর নলকূপ স্থাপন করছেন প্রকল্প পরিচালকেরা। কয়েকজন কৃষক বলেন, পূর্ণিমা-অমাবস্যার জোয়ারের পানিই এখন সেচের একমাত্র ভরসা। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ভিত্তিতে নদীটি খনন করা দরকার।
সদর গ্রামের কৃষক ইউনুছ মিয়া (৪৫) বলেন, ‘তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধইরা নদীত পানি নাই, মেশিন থেইক্কা পানি দিতে পারি না, পাঁচ কানি জমিতে ইরি লাগাইছি খেত শুকাইয়া গেছে। ধান গাছ লাল অইয়া যাইতাছে, কি যে হয় আল্লাই জানে।’ সেচ প্রকল্পের পরিচালক হক মিয়া বলেন, ‘নদীতে পানি নেই। তাই তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধইরা পানি তুলতে পারছি না। অনেকের জমিতে ধানগাছ নষ্ট হইয়া যাইতেছে, পানি দিতে না পারায় খেতের মালিকেরা আইসা ঝগড়া করতাছে, জমিও কইমা যাইতাছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নোয়াখেরুল ইসলাম জানান, অধিক মাত্রায় পলি জমে নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। এ কারণে সেচকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বোরো চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীটি খনন করতে পারলে আরও কয়েক গুণ বেশি জমিতে বোরো চাষ করা যেত এবং ফলনও বেশি হতো।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, শুকিয়ে যাওয়া নদীটি খনন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।






Shares