আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন শামীম ওসমান
ডেস্ক ২৪ : গোয়েন্দা পুলিশ এক কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে তাকে ফিরিয়ে দিতে বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা সময় পার হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ থেকে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত নেতা শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যা মামলায় তাঁর বাবা রাফিউর রাব্বীর সন্দেহের তালিকায় শামীম ওসমান ও তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানের সাথে তৃতীয় তালিকায় থাক যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া পারভেজ নিখোঁজ শনিবার থেকে। তাকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে, এই অভিযোগ করে পারভেজকে ফিরিয়ে দিতে সোমবার ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শামীম ওসমান। সময়সীমা পার হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে আরও দুই দিন। নারায়ণগঞ্জে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বীর কিশোর ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকীর হত্যার পর তার বাবা এই ঘটনায় দায়ী করেন ত্বকীর বাবা। অতীতের নানা ঘটনার পর এই অভিযোগ শামীম ওসমানের অবস্থান আরও নড়বড়ে করে দেয়। ত্বকী হত্যার বিচার দাবিতে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শহীদমিনারে অবস্থান চলাকালে ত্বকীর বাবার দিকে তেড়ে যান যুবলীগ কর্মী পারভেজ। এ সময় পারভেজ পিস্তল দেখান বলেও অভিযোগ ওঠে। পারভেজের সঙ্গে শামীম ওসমানের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট। এই ঘটনার পর শনিবার পারভেজকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করছেন শামীম ওসমান। ত্বকী হত্যার সঙ্গে তিনি ও তাঁর সমর্থক বা কোনো কর্মী কোনোভাবেই জড়িত নন বলে আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি। শামীম ওসমান বলেন, দলের সভানেত্রীর দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন। এখন তার সঙ্গে দেখা করেই দল ছাড়ার ঘোষণা দেবেন তিনি। শামীম ওসমান বলেন, ‘দলের জন্য অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়। এর আগেও দলের একজন নিবেদিতকর্মী মাকসুদকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। এবার পারভেজকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে দলের নেতাকর্মীরা একে পর এক হারিয়ে গেলে আমি রাজনীতি করব কাদের নিয়ে?’ তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে দেয়া যায় না। তাই আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর আগে সোমবার নারায়াণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে এক কর্মী সভায় শামীম বলেন, ‘পারভেজের কিছু হলে আর ছাড় দেবো না। পারভেজকে না পেলে প্রাণপ্রিয় নেত্রীর (শেখ হাসিনা) পা ছুয়ে বলবো গুডবাই, আর পারলাম না।’ |