Main Menu

৯ দিনে তিন শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

+100%-

 

প্রতিনিধি : ৯ দিনে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।পুকুরপাড়,ধানের জমিতে,খালের ধারে পাওয়া গেছে তাদের লাশ। কোন কারন ছাড়াই শিশুদের এই মৃত্যুর ঘটনা কালিউতা গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের একটি গ্রাম এটি। রহস্যজনক এই মৃত্যুর একটি কারনই গ্রামের মানুষের কাছে পরিস্কার ঠেকছে।তারা বলছেন এটি ভূত-পেত্নীর কারবার। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানও একই কথা জানিয়ে বলেন এখন এ থেকে মুক্তি পেতে ধর্মীয় বিধি বিধান মতো খয়খরচা করতে হবে। শিরণীর ব্যবস্থা করতে হবে। নাসিরনগর থানা পুলিশকেও ঐগ্রামের মানুষ জানিয়েছে এসব মৃত্যুর পেছনে ভূত-পেত্নীর হাত রয়েছে। বুধবার গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় ৫ বছরের শিশু আইরীন আক্তারের লাশ। তার পিতার নাম সাজু মিয়া।আগের দিন বাড়ি থেকে নিখোজ হয় সে। এর দু-দিন আগে ৮ ই জুলাই আরেক শিশু তানজিনার(৫) লাশ উদ্ধার হয় ধানতে থেকে। একইভাবে আগের দিন বাড়ি থেকে নিখোজ হয় সে।তানজিনার পিতার নাম নিয়ামত। ২ রা জুলাই লাশ পাওয়া যায় হাফিজুল্লাহর। তার বয়স ৪ বছর।পিতার নাম মিঠু মিয়া। সেও আগের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোজ হয়। বুধবার আইরিনের লাশ পাওয়ার পর গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওয়া না গেলেও  একের পর এক শিশুদের এমন মৃত্যুর কারন গ্রামবাসী অনেকটাই নিশ্চিত। তারা বলছেন ভূত-পেত্নীর হাতেই মারা যাচ্ছে এই শিশুরা।চাপরতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন এটা অশুভ শক্তির কাজ। যা দেও-দানব,ভূত-পেত্নী বলেই আমরা বুঝি। এদের মৃত্যুর আলামতও স্বাভাবিক নয়। এই শিশুদের লাশ পাওয়া গেছে নিজ নিজ বাড়ি থেকে দেড়-দু কিলোমিটার দূরে।পুকুরের পাড়ে,খালের ধারে। তারা সেখানে গেল কিভাবে সেটাও একটা প্রশ্ন। তাছাড়া এই শিশুদের কারো সাথে কোন শত্র“তাও ছিলনা। তাদের পিতারা খেটে খাওয়া মানুষ।তাদেরও কারো সাথে কোন বিরোধ নেই। তাহলে কি কারনে তাদেরকে হত্যা করা হবে? খাল বা পুকুরের পাড়ে যে লাশ দুটি পাওয়া গেছে তারা যে পানিতে ডুবেই  মারা গেছে তাও বলার উপায় নেই। পানিতে মরলে তার পেটে পানি থাকতো। আইরীনের লাশ উদ্ধারের পর আমার কাছে অস্বাভাবিকই মনে হয়েছে।তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন ভূত-পেত্নী আমরা বিশ্বাস করিনা। আবার এসব ঘটনায় না বিশ্বাস করারও কোন উপায় নেই। এগুলোর বিচরণ আছে ঠিকই। তারা নিজেদের অবস্থান জানাতে কোন না কোন ঘটনা ঘটায়। তাই শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা তাদের তেমনই একটি কাজ। এখন ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে শিরনী খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কালিউতা গ্রামে ৪/৫’শ লোকের বাস। তাদের সবার একই ধারণা ভূত-পেত্নীই হত্যা করছে তাদের সন্তানদের। সামছু মিয়া নামে গ্রামের একজনের সঙ্গে কথা হয়। তার বক্তব্য তাদের মরার যে আলামত এটা ভূত-পেত্নীর হাতেই হয়েছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন গ্রামের মানুষ আমাকে জানিয়েছে ভূত-পেত্নী এদেরকে মেরে ফেলেছে।এনিয়ে তারা কেউ মামলাও দিতে চাইনা। আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বুঝা যাবে মুত্যু কিভাবে হয়েছে।






Shares