নবীনগর আসনে কার মুখে ফুটবে চুড়ান্ত হাঁসি!!



দলীয় একাধীক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীলীগের কোন্দলের কারণে, ১৯৭৩ এর পরে ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক সাংসদ মরহুম এড: আবদুল লতিফ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। তিনি নবীনগরের ব্যপক উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক নবীনগরের রূপকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেয়ে অসুস্থতা ও দলীয় কোনদলের কারণে ২০০১ সালে আসনটি হারাতে হয় আওয়ামীলীগকে। ২০০৯ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন পান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট মজিবুর রহমানের ছেলে ও বর্তমান ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্ত শিল্পপতি ফায়জুর রহমান বাদল। এর কিছুদিন পর বাদলকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিকন এর সত্বাধীকারি এবাদুল করিম বুলবুলকে। পরে সকল নাটকের অবসান ঘটিয়ে চুড়ান্ত মনোনয়ন পান মহাজোট থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে বর্তমান এমপি এড: শাহ জিকরুল আহম্মেদ খোকন (জাসদ ইনু)। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি একযুগ পার হয়ে গেলেও সম্মেলন করতে না পারায় নেতা কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে তবে ২০০৬ সাল থেকে রাজনৈতিক নেতা না হলেও বাদল স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে নিজের কেরিয়ার গড়তে আওয়ামীলীগকে সুজজ্জিত করে যাচ্ছে দীর্ঘ ৮ বছর যাবত। এই অবস্থায় ১০জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত ফায়জুর রহমান বাদল চুড়ান্ত মনোনয়নে পুনারাবৃত্তির ভয়ে এলাকার সাধারন নেতাকর্মীদের মাঝে চড়ম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। বাদলকে বাদ দেওয়া হলে এই আসনটি আওয়ামীলীগকে হারাতে হবে বলে, স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। |