Main Menu

নবীনগরে পুকুর ভরাটের ঘটনায় অবশেষে পৌরসভার উদ্যোগে থানায় মামলা

+100%-
নবীনগর প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে ব্যাক্তিমালিকানাধীন একটি প্রাচীন পুকুর ভরাটের ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর রহস্যজনক কারণে নীরব থাকলেও, পুকুরটির ভরাট বন্ধ করতে অবশেষে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের (প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা) পশ্চিম পাড়ায় শতাধিক বছরের প্রাচীন ওই পুকুরটি এলাকায় ‘সাধন দেবের পুকুর’ হিসেবে পরিচিত। গত কিছুদিন ধরে বালি ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল। এতে এলাকাবাসি দু’ভাগে ভাগ হয়ে পুকুর ভরাটের পক্ষে ও বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাল্টাপাল্টি দু’টি আবেদন করেন। কিন্তু পুকুর ভরাট অব্যাহত থাকায় অবশেষে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিম উদ্দীনের নির্দেশে নবীনগর পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মেজবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে পুকুরের মালিক জহর দেব গংদের বিরুদ্ধে গত রোববার পরিবেশ ও জলাধার আইনে থানায় মামলা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নাজিম উদ্দিন বলেন,‘বিনা অনুমতিতে পুকুর ভরাট করার কারণে পৌরসভা, পরিবেশ ও জলাধার আইনে পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।’
এ বিষযে পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের উপ-পরিচালক মো. ছায়েফ উল্যাহ তালুকদার মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন,‘জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ব্যাক্তিমালিকানাধীন পুকুরও ভরাট করা যায়না। এ আইনে ভরাটকারীর বিরুদ্ধে ৫ বছর জেল কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।’
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কেন এখনও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না,  এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিগগীরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘পুলিশ পাঠিয়ে ওই পুকুরে বালি ফেলা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’
প্রসংগত, গত সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে ‘নবীনগরে প্রাচীন পুকুর ভরাটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।                                                                       






Shares