ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি একের পর এক মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির কারান্তরীণ নেতাকর্মীদের মামলা বহরে যোগ হয়েছে আরও একটি মামলা। বেইল বন্ড জমা হলেই নতুন মামলা প্রাপ্তি ঘটছে তাদের। একের পর এক মামলা যোগে কারাগারের ফটক আর পেরুতে পারছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার আরও একটি নতুন মামলায় আটকে গেলো তাদের মুক্তি। উচ্চ আদালত থেকে জামিন এনে নিম্ন আদালতে বেইলবন্ড জমা দেয়ার পরই নতুন মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন করছে পুলিশ। এ নিয়ে তিন দফা নতুন মামলায় তাদের মুক্তি আটকে গেলো। ধ্বংসাত্মক ও নাশকতার ১২ মামলায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী প্রায় দেড় মাস ধরে জেলে রয়েছেন। বলতে গেলে পুরো জেলা বিএনপিই করাগারে রয়েছে। বারবার নতুন মামলায় আটকে যাচ্ছে তাদের মুক্তি। দলীয় সূত্রে জানা যায়- বিভিন্ন ধরনের ১২টি মামলার আসামি জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ মোট ৪৬ জন গত ২৬শে অক্টোবর আদালতে জামিন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ৪২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন এনে গত ১৭ই নভেম্বর নিম্ন আদালতে বেইলবন্ড জমা দেয়া হয়। এদিনই জামিনপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ধারার মামলায় (নং ৩৩, তারিখ ১১/১০/১৫ ইং) আবার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান কারান্তরীণ ৩২ বিএনপি নেতাকর্মী। ২৬শে নভেম্বর স্থানীয় আদালতে তাদের বেইলবন্ড জমা দেয়ার পর নতুন আরেকটি মামলায় গেপ্তারের আবেদন করা হয়। তাদের আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২১শে অক্টোবরের একটি মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতার উল্লেখ করে গেপ্তারের আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় জামিন হওয়ার পর গতকাল আরেকটি নাশকতার মামলায় তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট করার আবেদন করা হয়।
দলের সূত্র জানায়-জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মোট ১২টি মামলা হয়। জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি, যুবদল, ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের সবাইকে এসব মামলার আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. শামীম মোল্লা, যুবদল সভাপতি মো. মনির হোসেন, ছাত্রদল সেক্রেটারী মো. ইয়াছিনসহ ৪৬ জন নেতাকর্মী গত ২৬শে অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি ৪২ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।