Main Menu

যোগাযোগ বন্ধের পর শেষ কথা বলেন পাইলট

+100%-

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি বন্ধ হওয়ার পর ফ্লাইটের ককপিট থেকে কেউ একজন শান্তভাবে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে শেষ কথা বলেন।

এপি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রোববার মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিমানটির একজন বা উভয় পাইলটই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ৭ মার্চ দিবাগত রাতে নিখোঁজ হয়। কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রার এক ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নিখোঁজ হওয়া বিমানটির ককপিট থেকে পাওয়া সর্বশেষ কথা ছিল, ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি।’ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন, তাঁর প্রথম সহকারী নাকি ককপিটে তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য কেউ এ কথাগুলো বলেছিলেন, তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, ওই কথা দুই পাইলটের যেকোনো একজনের হতে পারে। উড়োজাহাজটির পাইলট হিসেবে ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ। জাহারির প্রথম সহকারী পাইলট হিসেবে ছিলেন ফারিক আব হামিদ (২৭)।

তদন্তকারীরা বলছেন, বিমানটির যোগাযোগের দুটি ব্যবস্থা ১৪ মিনিটের ব্যবধানে একে একে বন্ধ হয়ে যায়। দৃশ্যত এগুলো পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৭ মার্চ দিবাগত রাত একটা সাত মিনিটে বিমানের ‘ডেটা রিপোর্টিং সিস্টেম’ এবং একটা ২১ মিনিটে ট্রান্সপন্ডার (বেতারবার্তা পাঠানোর যন্ত্র) বন্ধ হয়ে যায়।

মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি, বিমানে থাকা কেউ একজন প্রথমে একটি যোগাযোগব্যবস্থা অচল করেন। ওই যোগাযোগব্যবস্থাটি এয়ারক্র্যাফট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস অ্যাড্রেসিং অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম (এসিএআরএস) নামে পরিচিত। এ যোগাযোগব্যবস্থাটি বিমানের ইঞ্জিন ও অন্যান্য তথ্য প্রেরণ করে। বিমানটি আকাশে ওড়ার প্রায় ৪০ মিনিট পর এসিএআরএস বন্ধ হয়ে যায়। এর ১৪ মিনিট পর ট্রান্সপন্ডারও বন্ধ হয়ে যায়। পৃথকভাবে উভয় যোগাযোগব্যবস্থা অকেজো হয়ে যাওয়াটা পরিকল্পিতভাবে বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকেই ইঙ্গিত করে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসামউদ্দিন হুসাইন বলেন, ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি’—এ কথা বলা হয়েছিল এসিএআরএস অকেজো হওয়ার পর। এ সময় বিমানে কোনো সমস্যা থাকার কথা বলা হয়নি।






Shares