Main Menu

সৌদিআরব এর শ্রম আইন সম্পর্কে কিছু তথ্য যা জানা থাকা প্রবাসীদের খুবই জরুরি

+100%-

saudi-skyline-300x231
পাসপোর্ট : আপনার নিজের কাছে রাখার অধিকার আছে, কোম্পানি বা কফিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে আপনি অভিযোগ করতে পারেন। রায় আপনার পক্ষেই হবে। (তবে নিজের কাছে রেখে কি করবেন? নবায়ন ছাড়া যদি কিছু করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে কোম্পানি বা কফিলের কাছে থাকাই উত্তম।

• ইকামা : সময়মতো নবায়ন করতে হবে, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ৫০০ রিয়াল জরিমানা। মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় ধরা পড়লে আরো ৫০০ রিয়াল জরিমানা করে (সেখানেই পরিশোধ করতে হবে) ছেড়ে দেবে। সেক্ষেত্রে হুরুব কিংবা খুরুজ থাকলে আপনাকে দেশেও পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে।

• বেতন এবং কাফালা : অনেকেই একটা কথা বলে বেড়ান যে, পরপর তিন মাস বেতন না হলেই নাকি অন্য কোথাও কাফালা হওয়া যায় ! আসলে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সেরকম নয়। আপনার বেতন যদি কোন কারনে মালিক তথা কোম্পানি তিন মাস না দেয়, তাহলে আপনি মকতব আল আমেলে লিখিত অভিযোগ করতে পারবেন। সেখান থেকে ওরা আপনার কফিল / কোম্পানিকে বেতন ক্লিয়ার করার নোটিশ দেবে। তারপরও যদি আপনার বেতন সম্পূর্ণ প্রদান না করে এবং আরও একমাস অতিবাহিত হয় (বিনা বেতনে), তখন আপনি বিনা ঝন্জাটে কাফালা হতে পারবেন। এখানে মকতব আল আমেলের করা নোটিশটিই প্রধান অস্ত্র !

• হুরুব : মালিকদ্বারা যদি হুরুবের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করুন কিভাবে সমঝোতা করা যায়। অনেক ওয়াস্তা বা মুয়াগ্গিব আছেন যারা বলেন ১৫/২০ হাজারে (ক্ষেত্র বিশেষ কম বেশী হতে পারে) হুরুব কেটে দেবেন, তবে শুনুন, কাজটা এতটা কঠিন যে প্রায় অসম্ভব এমুহূর্তে !!! একজন শ্রমিকের যেকোন সিস্টেম্যাটিক কাজই কিন্তু কফিল করে অ্যাবশির তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে, আর প্রতিবার তা ব্যবহারের জন্য আলাদা আলাদা কনফার্মেশন কোড কফিলের মোবাইলে আসে (যদিও পাসওয়ার্ড বদল করতে হয়না প্রয়োজন ছাড়া)। মুয়াগ্গিবরা ভেতরের কিছু অসৎ কর্মকর্তা দ্বারা যা করেন তা হলো ক্ষনিকের জন্য আপনার কফিল বা কোম্পানিকে ‘রেড” স্টাটাসে (আহমার) নিয়ে এসে আপনার কাফালার কাজটি সম্পূর্ন করে, কিন্তু এই ক্ষনিক মুহূর্ত যখন পেরিয়ে যাবে আপনি আবার হুরুবে জর্জরিত হবেন,, সমস্যা এখানেই শেষ নয়।, আপনার হুরুব এক কফিলের পক্ষ থেকে দেয়া কিন্তু আপনি অন্য কফিলের আমেল (নতুন কাফালা) !

কিভাবে? বুঝতে পেরেছেন কিরকম ঘোরপ্যাঁচ ? আর যারা ইতিমধ্যে হুরুবে আছেন তারা হয় কফিলের সাথে মিলে যান (মাফ চান, দরকার পড়লে “আবুইয়া আনতা হাবিবি” বলতেও পিছপা হবেন না) অন্যথায় অপেক্ষা করুন আবার কোন রাজকীয় ক্ষমার! আর তারপরেও যদি মুয়াগ্গীবের কাছে যান তবে খুব সাবধানে টাকা পয়সার লেনদেন করবেন।

• ESB (End Of Service Benefit): কোম্পানী বা মালিক যদি খুরুজ নিহায়া করে দেয় অথবা আপনি কাফালা নিতে চান তবে তারা আপনাকে আপনার এত বছর সার্ভিসের সম্মানী বাবদ একটা টাকা দেবে। আসুন জেনে নিই কারা বা কিভাবে এটা কার্যত হয়।
১) যদি নিজ থেকে রিজাইন দিয়ে থাকেন অথবা অন্যর্ত চলে যেতে চান তবে :
ক) চাকুরী ২ বছর মেয়দপূর্ণ যদি না হয়ে থাকে তবে আপনি ESB সুযোগের আওতায় নন।
খ) ২-৫ বছর সার্ভিসের জন্য এক তৃতিয়াংশের অর্ধেক বেতন পাবেন। যদি বেতন ২০০০ হয় আর ৫ বছর সার্ভিস দিয়ে থাকেন তবে (২০০০/৩ = ৬৬৬), (৬৬৬/২ = ৩৩৩), (৩৩৩*৫ = ১৬৬৫) রিয়াল পাবেন।
গ) ৫-১০ বছর সার্ভিসের জন্য দুই তৃতীয়াংশের অর্ধেক বেতন পাবেন। (২০০০/৩ = ৬৬৬), (৬৬৬*১০ = ৬৬৬০) রিয়াল পাবেন ১০ বছরের জন্য।
ঘ) ১১ বা তার চেয়ে বেশী বছরের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ বছর মূল বেতনের অর্ধেক করে আর পরবর্তী বছরগুলো মূল বেতন হিসেবে ESB পাবেন।
২) কোম্পানী যদি আপনাকে ছাটাই করে বা খুরুজ নিহায়া দেয় সেক্ষত্রেঃ
ক) ৫ বছরের কম হলে মূল বেতনের অর্ধেক করে।
খ) ৫ বছরের বেশী হলে প্রথম ৫ বছর মূল বেতনের অর্ধেক আর পরবর্তী বছরগুলো মূল বেতন হিসাবে ESB পাবেন।

• সতর্কবানী!!! যদি আপনাকে কফিল বা কোম্পানীর পক্ষ থেকে কন্ট্রাক্ট ফরমে সই করতে বলে, আগে পড়ে নিন কি-কি লিখা আছে, না বুঝে সই করবেন না। নিজে না পারলে কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিন, অনেকেই ESB সার্ভিস না দিতে এমনটি করে। মনে রাখবেন, যদি লিখিত কোন প্রকার চুক্তি নাও থাকে তারপরও আপনি আপনার ESB লাভের বরাবর অধিকারী। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন আর মনে রাখবেন, আপনার অধিকার এবং দায়িত্ব যদি আপনি না বোঝেন তবে কারো সাধ্য নেই আপনাকে বোঝানোর।






Shares