মুস্তাফিজুরের লড়াই সত্ত্বেও জিতল সাকিবেরই দল
লড়াইটা ছিল কেকেআর বনাম সানরাইজার্স। না, একেবারেই ভুল, লড়াইটা ছিল দুই বাঙালির। সাকিব বনাম মুস্তাফিজুরের। আর রবিবাসরীয় ইডেনে মুস্তাফিজুর রহমানের মরিয়া লড়াই সত্ত্বেও শেষ হাসিটা হাসলেন তাঁর বাংলাদেশি বন্ধু সাকিব অল-হাসান।
মূলত, মুস্তাফিজের কৃপণ বোলিংয়ের জন্যই এ দিন শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারল কেকেআর। যা টি-টোয়েন্টির নিরিখে একেবারেই গৌরবের নয়। ওই পনেরো ওভারে আগে তো এক সময় তো মনে হচ্ছিল গৌতম গম্ভীরের দল ১৯০-২০০ রান সহজেই তুলে নেবে। ইউসুফ পাঠানের মতো হার্ড হিটার তখনও যে ক্রিজে। আর শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এই আইপিএলে কিন্তু বিরাট কোহালির থেকেও স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে পাঠান। ফলে আশঙ্কা একটা ছিলই। কিন্তু, মুস্তাফিজের ডেথ বোলিংয়ের চাপে পড়ে গলায় ফাঁস আটকে আসে পাঠানেরও। ১৭ এবং ১৯তম ওভারে মাত্র ৩ রান করে দিলেন মুস্তাফিজ। আর সেই সঙ্গে কেকেআরেরও দু’শোর গণ্ডি পেরোনোর আশায় জল ঢেলে দেন তিনি। আর শেষ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিংয়ে চাপ আরও বাড়ে কেকেআরের। সাকিবের উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১৮ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে পার্পল ক্যাপ মাথায় ওঠে তাঁর। পিছিয়ে ছিলেন না মুস্তাফিজও। ভুবনেশ্বরের পর ১৬ উইকেট নিয়ে এখন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুস্তাফিজুর। ম্যাচে তাঁর বোলিং স্ট্যাট, ৪-০-৩২-১। দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান দিলেও ডেথ বোলিংয়ে সেই চেনা মুস্তাফিজকে চোখে পড়ে।
মুস্তাফিজের তুলনায় এ দিন ব্যাটিং-বোলিংয়ে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি সাকিব। সাত নম্বরে ব্যাট নেমে মাত্র ৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। বোলিংয়ে ৪-০-৩৪-১। পরিসংখ্যানের নিরিখে তা প্রায় মুস্তাফিজুরের মতো হলেও ডেথ বোলিংয়ে কিন্তু এ দিন অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন সাকিব। তবে দুই বাঙালির ড়ুয়েলের মাঝে শেষ হাসি হাসল সাকিবেরই কেকেআর। তার জন্য অবশ্যই মণীশ পাণ্ডে ও পাঠানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কথা বলতে হয়। তবে শেষমেশ কিন্তু হারলেন না কোনও বাঙালিই। দু’জনেরই দল যে এখন প্লে অফে। ফলে কে বলতে পারে, আরও একটা ডুয়েলে মুখোমুখি হবেন না সাকিব-মুস্তাফিজ!