![](https://i0.wp.com/brahmanbaria24.com/wpa/wp-content/uploads/2013/02/ashugonj----.jpg?resize=123%2C92)
প্রতিনিধি ।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দর থেকে নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় সর্বশেষ চালানের ৪৮০ মেট্রিক টন ভারতীয় মালামাল নিয়ে দুটি বাংলাদেশী জাহাজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের আসাম রাজ্যের উদ্দেশ্যে আশুগঞ্জ ত্যাগ করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে কাষ্টমস্ যাচাই ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ শেষে সন্ধ্যায় সর্বশেষ চালান নিয়ে জাহাজ দুটি আশুগঞ্জ বন্দর ত্যাগ করে। নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন সময় থেকে ৫ হাজার ১’শ ৯১ মেট্রিক মালামাল নিয়ে ৬টি ভারতীয় জাহাজ আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নোঙ্গড় করেছিল। নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় এসব পণ্য ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের ছোট ছোট বাংলাদেশী জাহাজে করে ভারতের আসাম রাজ্যে নেয়ার ব্যবসা করা হয়। আশুগঞ্জ বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন সময়ে ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে আসামের বদরপুরের উদ্দেশ্যে ৫ হাজার ১’শ ৯১ মেট্রিক টন ফ্লায়েশ ও কয়লা নিয়ে এম ভি গালফ্- ৩ ও ৫, এমভি বিবি-১১৩৫, এমভি মা রহিমা খাতুন, এমভি শিমুলিয়া ও এমভি রাজেস-৪ নামে ৬টি ভারতীয় জাহাজ রওনা হয়। কিন্ত নদীর নাব্যতা না থাকায় এসব পণ্যবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ নদী বন্দরে বিভিন্ন সময়ে নোঙ্গড় করে। আশুগঞ্জ বন্দর থেকে বাংলাদেশী ছোট জাহাজে এসব পণ্য পুণরায় লোডিং করে আসামে নেয়ার কাজ শুরু হয় গত বছরের ১৪ অক্টোবর থেকে। ভারতীয় জাহাজ এমভি রাজেস ও এমভি মা রহিমা খাতুন থেকে সর্বশেষ ৪৮০ মেট্রিক টন কয়লা ও ফ্লায়েশ পুণরায় বাংলাদেশী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা-১৩ ও বসুন্ধরা-২১-তে বুধবার লোডিং করা হয়। পরে সন্ধ্যায় এসব পণ্যের কাষ্টমস্ ও রাজস্ব যাচাই শেষে জাহাজ দুটি আশুগঞ্জ বন্দর ত্যাগ করে। এ সময় উপসি’ত ছিলেন পণ্য পরিবহনকারী বেলায়েত নেভিগেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারি, জাহাজের মাষ্টার, আশুগঞ্জ বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম ও সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ ইমাম হোসেন। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটের কারনে এসব পণ্যবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে অবস’ান করেছিল। গতকাল এসব জাহাজের সর্বশেষ চালানের ৪৮০ মেটিক টন পণ্যের কাস্টমস্ শেষে সিলগালা করা হয়। সন্ধ্যায় জাহাজ দুটি ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। এ ব্যাপারে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ ইমাম হোসেন বলেন, নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় এসব পণ্য পরিবহন করায় এ থেকে কোন অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হচ্ছেনা। তবে দেশীয় জাহাজে এসব পন্য পরিবহন করায় দেশ লাভবান হচ্ছে। |