নাসিরনগরে মাধ্যমিকে ফলাফল বিপর্যয়, ২১৯৫ জনের মধ্যে পাশ ৯৭৮ জন। নেপথ্যে ১০ কারণ।
এম.ডি.মুরাদ মৃধা :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাধ্যমিকে ফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে ১০ টি কারণ বলে উল্লেখ করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিয়াকত আলী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এবারে মাধ্যমিকে প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই মিলেছে।
গত বছর যারা দুটি বা তার অধিক বিষয়ে ফেল করেছিল তাদের বিভিন্ন কারনে পরিক্ষার অনুমতি প্রদান। স্কুলের পরিবেশগত সমস্যা। সামাজিক দারিদ্রতা। এলাকার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অনুন্নত জীবনমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হওয়া। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার। অতিরিক্ত প্রাইভেটটিউটরের চাপ। ক্লাসের পড়া সঠিক সময়ে তৈরি করতে না পাড়া। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের অভাব, শিক্ষার মান কমে যাওয়া, পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরি না করা। পরীক্ষকদের খাতা দেখায় উদারপন্থি মনোভাবে শিথিলতা, পরীক্ষা হলে শিক্ষকদের দেখিয়ে দেয়ার শিথিলতার কারণে এবার ফলে বিপর্যয় ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন সচেতন সমাজ।
এ ব্যপারে সুশীল ব্যক্তিত্ব জামিল ফোরকান বলেন এবার পরীক্ষকরা খাতা দেখার ব্যাপারে উদারপন্থি মনোভাব প্রদর্শন করেনি। গত কয়েক বছর ধরে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়ায় শিক্ষার সার্বিক মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে বিভিন্ন মহলে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পেছনে পরীক্ষকদের খাতা দেখার নমনীয় মনোভাব বলে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু এবার সেটি হয়নি বলে জানান তিনি।
এ বছর নাসিরনগর হতে এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১৯৫ জন। পাশ করেন ৯৭৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ জন। পাশের হার ৪৪.৫৫। সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ পেয়েছে (৭) নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
দাখিল পরিক্ষায় মোট পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন। পাশ করেছেন ১২৫ জন। পাশের হার ৫৩.৯২। এ বছর মাদ্রাসা হতে কোন জিপিএ ৫ নেই।
এ ব্যপারে নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মাকসুদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।