নাসিরনগরে মেধাবী ছাত্রীর যৌন নিপিড়ন কারীদের শাস্তির দাবীতে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ জেলার নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচচ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীকে যৌন নিপিড়ন ও ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পর্নোগ্রাফি ছবি তুলে বিভিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেটে প্রকাশের দায়ে ছাত্রীর পিতার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা ৩ঘটিকায় স্থানীয় শহীদ মিনার পাদদেশে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা পরিষদ, ঢাকাস্থ নাসিরনগর সোসাইটি ও নাসিরনগর উপজেলা উদীচি শিল্পীগোষ্ঠির ব্যানারে এলাকার সচেতন জনগনের স্ব-উদ্যোগে ওই ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ সালাহ উদ্দিন মুকুলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা সাথী চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আছমা বেগম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সাজিদুল হক, উদীচি শিল্পী গোষ্ঠি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, ঢাকাস্থ নাসিরনগর সোসাইটির সভাপতি মোঃ ইউনুছ আলী, তরুন আওয়ামীলীগ নেতা অরুন জ্যোতি ভট্টাচার্য , নাসিরনগর সদর ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ রফিজ মিয়া,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ মাষ্টার প্রমুখ। বক্তারা বলেন এ রকম জর্ঘন্য ঘটনার পর, থানায় মামলা হলেও কোন প্রতিকার না থাকায় উল্টো আসামীরা বাদীকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। ওই ঘটনায় তারা প্রধান শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং থানা পুলিশকে উল্লেখ করে বলেন, যদি ওই ঘটনার ন্যায় বিচার হত তাহলে আর কোন মেয়েকে বখাটেদের দ্বারা ধর্ষন নির্যাতন, যৌন নিপিড়নের স্বীকার হতে হতো না। তারা আরো বলেন উক্ত ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের অসহযোগীতার কারণে আজ কোন ছাত্রছাত্রী আসতে পারেনি। স্কুল কলেজের ছাত্রীছাত্রীদের না পেয়ে অবশেষে ন্যায় বিচারের দাবীতে এলাকার সচেতন সমাজ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বক্তারা পুলিশকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশ একটি সমতল ভূমি। যদি তিন দিনের ভিতরে পুলিশ আসামী ধরতে ব্যর্থ হয় বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে পরবর্তীতে থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে ঘোষণা দেন তারা। বক্তারা যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের প্রতি আহব্বান জানান। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা সাথী চৌধুরী সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পরবর্তীতে কি ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগামী রবি সোমবারের দিকে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করবেন।