Main Menu

নাসিরনগর খুনের মামলার জের ,প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকার সম্পদ লুট,বাড়িঘর ভাংচুর।

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ব্রাক্ষণবাড়িয়াঃ খুনের মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ বাড়িতে সন্ত্রাসী তান্ডব। প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ৬ জানুয়ারী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রত্না বেগম বাদি হয়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলাই মিয়ার ছেলে জিতু মিয়া ,দিলাল মিয়া,মাসুক মিয়া সহ ১৪ জনকে আসামী করে একটি লুটতরাজের মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি,ডিবি ব্রাক্ষণবাড়িয়াকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।মামলার বাদীনি ও আসামী পক্ষের লোকজনের দাবী বাদী পক্ষের লোকেরা মামলা মোকদ্দমা সুবিধা করতে না পেরে তাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এ নৃ:শংস খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বাদীনি রত্না বেগম জানায় তারা নিজেরা রাজহাসঁ জবাই করে লুঙ্গিতে রক্ত লাগিয়ে সেই লুঙ্গি ছিদ্দিক আলীর ঘরে রেখে তারা নিজেরা ঘর তালা দিয়ে পুলিশকে দেখায়। ঘটনাটি ঘটে ৩০,৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পল্লীর প্রত্যন্ত অঞ্চল ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামে। লুটপাট এখনো অব্যাহত আছে বলে লোক মুখে জানা গেছে। সরেজমিন ধরমন্ডল গিয়ে এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষর্দশীর সাথে কখা বলে ও মামলা সূত্রে  জানা গেছে ২৮ ডিসেম্ভর গভীর রাতে খুন হয় ওই গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে কৃষক মো:আব্দুল হাই। দুরবৃত্তরা আব্দুল হাইকে  ধারালো ছুড়ি দিয়ে  গভীর রাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে  আঘাত করে খুন করে ,লাশ বাড়ির অদুরে খোলা আকাশের নিচে সরিষা ক্ষেতে ফেলে রাখে।ওই ঘটনার তিন দিন পর৩১ ডিসেম্ভর  আব্দুলহাইয়ের ছোট ভাই মো:দিলাল মিয়া বাদি হয়ে প্রতিবেশী মামদ আলীর ছেলে মো:ছিদ্দিক আলী সহ ২৮ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি খুনের মামলা রুজু করে। মামলার পর পুলিশি গ্রেপ্তারের ভয়ে আসামীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।ওই সুযোগে বাদি পক্ষের লোকজন আসামী পক্ষের বাড়িতে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ৩ টি পাকা বাড়ি যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা,ও তিনটি টিনের ঘর যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার,মূল্যবান আসবাবপত্র,গরু বাছুর ,হাড়ি পাতিল কাপড় চোপড়,ধান চাউল,মোটর সাইকেল সহ প্রায় আরো ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। জানা গেছে সিদ্দিক আলী ও আব্দুলহাই এর মাঝে দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলছিল।মাঝে আপোশ নিস্পত্তি ও হয়েছে ।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে নিহত আব্দুলহাই পুলিশের তালিকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত একজন আসামী। আব্দুলহাইয়ের নামে থানা,আদালত ও র‌্যাব ক্যাম্পে একাধিক মামলা মোকদ্দমা ও অভিযোগ রয়েছে।আব্দুলহাইয়ের বিরোদ্ধে সখিনা খাতুনের মামলা নং: জি .আর ৪০৩, সিদ্দিক আলীর জি.আর মামলা নং: ২৭৯ দ্রুত বিচার আইন।জোৎস্না বেগমের জি.আর মামলা নং: ৩৭৫ চুরির অভিযোগ,সখিনা খাতুনের  মামলা নং: ১২৩ নারী ও শিশু নির্যাতন,খেলু মিয়ার মামলা নং: ২৬৫ নারী ও শিশু নির্যাতন,আসকর আলীর জি .আর মামলা নং: ২৩১ হত্যার উদ্দেশ্য।জোৎস্না আক্তারের র‌্যাব ৯ ভৈরব কিশোরগঞ্জ বরাবর চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ সহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে বলে জানা গেছে।লুটতরাজ মামলার বাদীনি ওআসামীরা আদালতের কাছে খুনের ঘটনাটি সুষ্ট তদন্তপুর্বক ন্যায়বিচার ও লুটতরাজ বন্ধে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ সহ সুবিচার দাবী করছে ।






Shares