Main Menu

নাসিরনগরে আওয়ামীলীগ বিএনপির ঘরে আগুন :: পাল্লাভারী ১৯ দলীয় জোটপ্রার্থীর

+100%-

নাসিরনগর, প্রতিনিধি : ২৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে হাঁসি মুখে হাত বাড়ানোর মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রার্থীরা শুরু করেছে নির্বাচনী দৌড়ঝাপ। প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের ধারে ধারে ঘুড়ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা সমাবেশ করে এলাকার উন্নয়নের নানা কথা বলছে ।


এবার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে ১জন। বি এন পি থেকে ১জন ও ১৯ দলীয় জোটপ্রার্থী হিসেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদন্ধীতা নামছে। তাছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বি এন পি থেকে দুইজন, আওয়ামীলীগ থেকে ১ জন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই দলের দুইজন লড়ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে রয়েছে ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান,জেলা বিজেপির আহবায়ক,সারা বাংলাদেশে সফল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে একাধিক স্বর্ণ পদক ও সনদ প্রাপ্ত,রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্বা সময়ের সফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আহসানুল হক মাষ্টার(ঘোড়া)।আওয়ামীলীগ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িশ্বর  ইউপি চেয়ারম্যান এ টি এম ,মনিরুজ্জামান সরকার(আনারস),বি এন পি থেকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোর্কন ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নান (মোটর সাইকেল)।ভাইস চেয়ারম্যান পদে বি এনপি থেকে উপজেলা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাতলপাড় ইউপি সাবেক চেয়ারম্যানমোঃ আলমগীর হোসেন(চশমা),বি এন পি নেতা মোঃ ছোয়াব খাঁন (উড়োজাহাজ)। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অঞ্জন কুমার দেব(তালা। মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের সৈয়দা হামিদা লতিফ (পান্না) (প্রজাপতি),বিএনপি নেত্রী লুৎফুননাহার পাপড়ি (কলস)।

এটি মৎস ও প্রণিসম্পদ মন্ত্রী এডঃ মোঃ ছায়েদুল হকের  নির্বাচনী এলাকা। এলাকার কৃষক,শ্রমিক,গাড়ি চালক,ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি,এনজিও কর্মী,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা,কর্মী,শিক্ষক,মসজিদের ঈমাম আলেম ওলামা,সর্বস্তরের সাধারণ লোকের সাথে কথা বলে প্রার্থীদের সম্মন্ধে জানা গেছে নানা তথ্য। তারা বলছেন এটি জাতীয় নির্বাচন নয় স্থানীয় নির্বাচন।

তারা জানান,আহসানুল হক মাস্টার একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ,এলাকায় রয়েছে তার বিশাল আত্মীয়তার বহর,ও সুপরিচিতি।তিনি একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ ,এমন কি সারা বাংলাদেশে একজন সফল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ও তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। যে কোন মানুষের আপদে বিপদে ডাকদিলেই উপস্থিত হন তিনি। তিনি একজন সদাহাসৌজ্জল ও নিরহংকারী ব্যাক্তি। আহসানুল হক এলাকার মাঠি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত।

এ টি এম মনিরুজ্জামান সম্পর্কে  জানা গেছে,তিনি বয়সে নবীন ও অহংকারী। সাধারণ মানুষ থেকে  রয়েছেন দুরে । সে দল নির্ভর  হয়ে নির্বাচন করছে । আরো জানা গেছে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অর্থনৈতিক ভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়ে। তিন বছর পার হতে না হতেই  বিত্তশালীতে পরিনত হয়েছেন তিনি। চোখে পড়ার মত দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বাণিজ্য নেই তার।নাসিরনগরে ইউ এন ওর বাসার পুর্ব পাশে ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাড়িও নির্মান  করেছে তিনি। রাতা রাতি তার এ দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।এম এ হান্নান সর্ম্পকে জানা গেছে তিনি ন্যায় বিচারক,অকপটে সত্যবাদী,তবে সে মানুষের সাথে মিশুক নন। তাছাড়া ও তার দলের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীরাই আহসানুল হক মাষ্টারের পক্ষে কাজ করছে । সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না সম্পর্কে জানান,বিগত পাঁচ বছর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকা কালে তার স্বামী লতিফ হোসেনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলতে পারে ।






Shares