নাসিরনগরে পানির জন্য হাহাকার
![+](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/plus.png)
![100%](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/100.png)
![-](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/minus.png)
আকতার হোসেন ভুইয়া,॥ নাসিরনগরের অধিকাংশ নদী,নালা,খাল-বিল ও পুকুর-জলাশয় শুকিয়ে গেছে। ভূগভর্স্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমে ধান চাষীসহ গৃহস্থালীতে নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। এরকম পরিস্থিতিকে বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব বলে মনে করছেন । ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানির হাহাকার পড়ে গেছে। এতে করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত হস্ত চালিত নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কোন এলাকার লোকজন দূরবর্তী ইরি-বোরো প্রকল্পের নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে দুই তিন দিন তা সংরক্ষণ করে খাওয়ার পানি হিসাবে ব্যবহার করছে । পানি সংকটে গরু ও মানুষ একই পুকুরে বা ডোবায় গোসল করছে। ফলে নানা রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিন দ্বারা পানি উপরে তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকে শ্যালো মেশিন ৮/৯ ফুট মাটির নিচে বসিয়ে সেচের পানি সংকটে কৃষকরা ভূগছে। উপজেলার অনেক নদ-নদীর তলদেশে ফসলের চাষ হচ্ছে। শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে অনেক মাছ চাষী পুকুরগুলোতে শ্যালোইঞ্জিন বসিয়ে পানি উঠিয়ে নিচ্ছেন। কৃষকরা জানায়, যেখানে আগে বছরের ৭ মাস পানি থাকতো সেখানে বর্তমানে ৩/৪ মাস পানি থাকে নদীতে। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এ এলাকার ছোট-বড় যে কয়েকটি নদী রয়েছে তা অধিকাংশ শুকিয়ে যায়। নদী গুলোতে যেখানে সারা বছর নৌকা চলতো সেখানে এখন ধান চাষ করা হচ্ছে। প্রকৃতির এ পরিবর্তনে মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তুও হুমকির মুখে চলে যাচ্ছে ক্রমশ। জলবায়ু পরিবর্তনের এধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এসব এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে ধারনা করছেন অভিজ্ঞ মহল। উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অভীর নলকূপগুলো দিয়ে পানি না উঠায় এখানকার বেশীরভাগ মানুষকে পানির জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে জনসংখ্যার তুলনায় গভীর নলকূপের সংখ্যা অপ্রতুল। |