Main Menu

কবি দিলীপ দাস ত্রিপুরায় অবস্থান করে, বাংলা সাহিত্যে পাবলো নেরুদা হয়ে উঠেছেন–কবি রহমান হেনরি

+100%-

কবি দিলীপ দাস।১৯৫৩ সালের ৮ জুলাই জন্মেছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পূর্ব মেড্ডায়। সোমবার ছিল তিতাস পাড়ের এই প্রিয় সন্তান ও ত্রিপুরার বিশিষ্ট কবি দিলীপ দাসের ৬০ তম জন্মদিন।এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠন  বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে কথা-কবিতা-আড্ডার আয়োজন করে।এসময় কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কবির কবিতা থেকে নির্বাচিত আবৃত্তি,কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ,আবৃত্তি প্রতিযোগীতা,সঙ্গীত পরিবেশন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশখ্যাত কবি রহমান হেনরি।সংগঠনের সমন্বয়ক রোকেয়া দস্তগীর এর সভাপতিত্বে  জন্মদিন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অমিতাভ চক্রবর্তীর পরিচালনায় আলোচনা করেন কবি আবদুল মান্নান সরকার,সংস্কৃতিসেবী জহিরুল ইসলাম ভূঞা,চমন সিকান্দার জুলকারনাইন,সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পী,সংগঠন পরিচালক মো.মনির হোসেন,সহকারি পরিচালক আবদুল বাছির দুলাল,অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।কবিতা পাঠ করেন কবি আবদুল মান্নান সরকার,কবি অর্ধেন্দু শর্মা,কবি আমির হোসেন।আবৃত্তি করেন মো.মনির হোসেন,রোকেয়া দস্তগীর,বাছির দুলাল,মাসুদ রানা,শরীফ মো.সাঈম,সানজিয়া আফরিন,তন্ময় চক্রবর্তী,সাকিলা নাসরিন সেতু,উত্তম দাস।সঙ্গীত পরিবেশন করেন নুশীন আদিবা,ইসরাত জাহান আর্তি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশখ্যাত কবি রহমান হেনরি বলেন,একদিকে পশ্চিম বাংলার কবিতা জীবন বিমুখ হয়ে পড়ছে।যান্ত্রিকতায় ভর করে দিনে দিনে তা দূর্বোধ্য হয়ে উঠছে।তারা আরোপিত আধুনিকতায় আচ্ছন্ন।অন্যদিকে ত্রিপুরার কবিতা শিল্পনিষ্ট জীবন সংগ্রামের মূর্তপ্রতিক।তাদের প্রতিটি সৃষ্টিশীলতায় তাদের সংগ্রামশীলতা উঠে আসে।কবি দিলীপ দাস ত্রিপুরায় অবস্থান করে,বাংলা ভাষায় কবিতা লিখে সমস্ত বাংলা সাহিত্যে পাবলো নেরুদা হয়ে উঠেছেন।মানুষ হিসেবে তাঁর মতো উচ্চতার মানুষ তেমন আমি দেখিনি।মানুষ হিসেবে তিনি যেমন মৃদুভাষী তেমনি তাঁর কবিতাও মৃদুভাষী,শিল্পীত।তাঁর শিল্প অভিযোগ করতে শেখেনি.অনুযোগ করছে।সমগ্র ভারত বর্ষে কবি দিলীপ দাস বাংলা কবিতায় অনেক বড় কবি।তার কবিতায় মেহনতি মানুষের মুক্তির স্বপ সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে।তিনি একটি বৈষম্যহীন ভারতের স্বপ্ন দেখেন।






Shares