![](http://brahmanbaria24.com/wpa/wp-content/uploads/2013/04/br 4-10-13.jpg)
শামীম উন বাছির ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালে পিকেটিং করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় ৪টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার মাইজহাটি ও শরীফপুর মহল্লাবাসীর মধ্যে। ৩ রাউন্ড কাদানো গ্যাস ও ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে।
![](http://brahmanbaria24.com/wpa/wp-content/uploads/2013/04/br 4-10-13 2.jpg)
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, গত বুধবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম মেড্ডা পীরবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকেটিং করার সময় শরীফপুর মহল্লার বিএনপির কর্মীরা একই এলাকার মাইজহাটির একটি অটোরিকসা আটক করে যাত্রীদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে দেয়। ![](http://brahmanbaria24.com/wpa/wp-content/uploads/2013/04/br 4-10-13 3.jpg)
এ ঘটনার জের ধরে সকাল ১০টার দিকে মাইজহাটি ও শরীফপুর মহল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শরীফপুর মহল্লার ৪টি বাড়ি ভাংচুর করে মাইজহাটির লোকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ার সেল নিপে করে দুপুর ১২টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে টিপু মিয়া-(২৫), খায়ের মিয়া-(৩২), সজিব মিয়া- (২০), আনিছ মিয়া-(২৫) ও ওয়াবিক মিয়া- (২৫) কে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে শরীফপুর মহল্লার বাসিন্দা ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ সাদেকুর রহমান শরীফ অভিযোগ করে বলেন, মাইজহাটির লোকজন শরীফপুর মহল্লায় হামলা চালিয়ে ৪টি বাড়ি ভাংচুর করেছে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ার সেল নিপে করা হয়।
|