Main Menu

শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে,ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বিশ্ব ইজতেমা

+100%-

estemaমোঃআমিনুল ইসলাম//ব্রাক্ষণবাড়ীয়া তিতাস নদীর তীরে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার মুল আনুষ্ঠানিকতা।বাস, ট্রাক, ট্রেন, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি, নৌকায় ও পায়ে হেঁটে মুুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমার ময়দানে যোগ দিচ্ছেন।

এরই মধ্যে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে তিতাস নদীর তীরে ইজতেমার ময়দান।

আগামী শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বিশ্ব ইজতেমার একাংশ।যার কারনে আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে লাখো মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হয়।
যার ফলে দুপুরে আগেই ইজতেমা মাঠ কানাই কানাই পূর্ন ও রাস্তাসহ বাড়ি আশেপাশে মুসল্লিদের জনসমুদ্রে পরিনত হয়।এদিকে দক্ষিন পৈরতলা থেকে ইজতেমা আগত যাএীদের ফ্রি সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন পরিবহন।বড়াইল থেকে গৌকর্নঘাট ইজতেমা মাঠ পর্যন্ত মানুষের সমাগন ছিল চোঁখে পড়ার মত।অনেকেই আবার পরিবহন না পেয়ে পায়ে হেটে শালগাঁও কালিসীমা ইজতেমা মাঠে এসে উপস্থিত হয়।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা মাওলানা আনিছ মিয়া জানান, বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।শালগাঁল কালিসীমা সুবিশাল ইজতেমা ময়দানের পুরোটাই চটের শামিয়ানা টানিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন উপজেলার মুুসল্লিদের অবস্থানের জন্য ৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার ফজর নামাজের পর থেকে বয়ান করেন ফারুক সাহেব।জুম্মার নামাজের ইমামতি করেন,কাকরাইল মসজিদের অন্যতম প্রধান মুরুব্বি ও জিম্মাদার মাওলানা যোবায়ের আহমেদ সাহেব।জুম্মা নামাজের পর বয়ান করেন,যাএাবাড়ি বাইতুল নুর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মুফতি মনির সাহেব।
estema1
কেন্দ্রীয় বিশ্ব ইজতেমা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সমর্থনে ঢাকার ২ মসজিদের অনুকরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের মিলন কেন্দ্র জেলা মারকাজ মসজিদের আহলে শূরা ইজতেমার আয়োজন করেছে। এ ইজতেমা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নজম বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ও আফ্রিকা মহাদেশের দাওয়াতি কাজের সমন্বয়ক মাওলানা আবদুল মতিন। তিনি বয়ানে বলেন, কালেমা আল্লাহর পক্ষে আমাদের জন্য নেয়ামত। এ কালেমার প্রধান বিষয় ইমান। আর ইমানের সুরক্ষাতেই ইজতেমার আয়োজন। ইজতেমা নতুন কোনো বিষয় নয়। রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকেই দাওয়াতি কার্যক্রম ও ইজতেমা শুরু হয়েছে। তবে তখনকার ধরন ছিল অন্যরকম। ভারতীয় উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের মাওয়ায় প্রথম ইজতেমা শুরু হয়। তিনি এ সময় ইজতেমার শানে-নজুলসহ স্বেচ্ছাসেবক ও ইজতেমায় অংশ গ্রহণকারীদের করণীয় সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন। বাদ আসর থেকে শুরু হয় আমবয়ান বা সব স্থরের মুসল্লিদের জন্য বক্তব্য। এ বয়ানে অংশ নেন তাবলিগ জামাতের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা উমায়ের। বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদের অন্যতম প্রধান মুরুব্বি ও জিম্মাদার মাওলানা যোবায়ের আহমেদের বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের ইজতেমার সমাপ্তি ঘটে। বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমায় লোক সমাগম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইজতেমা মাঠে জনতার ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি জমায়েত হন ইজতেমা মাঠে।

এ ছাড়া মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনসহ ব্রাক্ষণবাড়ীয়া ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে বিছানা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরে থাকবে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণে থাকছে দমকল বাহিনী।

পুলিশ সুপার মোঃমিজানুর রহমান জানান, ইজতেমাস্থলে মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মাঠের চারদিকে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ৩ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।৫০ টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা তদারক করা হবে।






Shares