Main Menu

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর আর্দশকে আমাদের নতুন প্রজম্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে:: মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় প্রফেসর এএফএম শফিকুল্লাহ

+100%-

IMG_8031ডেস্ক২৪::চুয়াল্লিশতম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে ছয়দিন ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার তৃত্বীয় দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক অয়োজিত দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএফএম শফিকুল্লাহ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার গাজী মোঃ রতন মিয়া এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লায়ন আলহাজ্ব ফিরোজুর রহমান ওলিও, আয়কর উপদেষ্ঠা ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া, জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন দেলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শহীদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার ডা. একেএম আজাদ, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার, উদিচির জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংস্কৃতি কর্মী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ,

সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম ৭১ মুক্তিযুদ্ধের কেন প্রয়োজন ছিল তা জানেনা। তাদেরকে তা জানাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাদের জনাতে হবে ২৩ বছর পাকিস্থান শাসনামলে কোন বাঙ্গালী সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ প্রর্যায়ে আসিন হতে পারেনি। ২৩ বছর পাবিস্থানী শাসক গোষ্ঠি আমাদের শাসনের নামে শোষন করেছে। তারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃৃতির উপর আঘাত করেছে। তাই বাঙ্গীল স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের স্বাধীনতা প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন যে উদ্দেশ, আর্দশ্য নিয়ে, যে চেতনা নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাগন এ দেশ কে স্বাধীন করেছিলেন। সেই উদ্দেশ্য, চেতনা আর আর্দশকে আমাদের নতুন প্রজম্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারবে না। অনুষ্ঠানে বিজয় মেলা সাংস্কৃতিক উপ কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান সরকারের সার্বিক তত্তাবধানে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ঝিলমিল শিশু কিশোর একাডেমীর শিশু শিল্পীবৃন্দ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শিশু শিল্পী রোকেয়া আমিন অনুসোয়া। অনুষ্ঠানে শিল্পী শান্তা পালের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছারা বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে বাউল শিল্পী সাগর দেওয়ান, রিনা খান ও তাঁর দল। সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা চলবে। মেলায় প্রতিদিন স্থানীয় ও দেশ বরণ্যে ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।






Shares