Main Menu

নাসিরনগরের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হোক:: র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

+100%-

muktadir-nasirnagarডেস্ক ২৪:: নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পোড়ানো, মন্দির প্রতিমা ভেঙে দাঙ্গাসৃষ্টিকারীদের আড়াল করতে বিশেষ একটি মহল নানা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

রোববার তার সংসদভবন কার্যালয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাথে একান্ত আলাপে তিনি আরও বলেন, আজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে স্বাধীনতার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জেলা আওয়ামী লীগ। আজ সেই জেলা আওয়ামী লীগকে ঘিরে বিশেষ একটি মহল সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলছে।

তিনি আরও বলেন, নাসিরনগরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমি কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম,
১. কারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দেয়ার জন্য পাড়ামহল্লায় দিনের পর দিন মাইকিং করেছে? কেন তাদের বাঁধা দেওয়া হয়নি?
২. প্রশাসন কেন এসব সংগঠনগুলোকে সমাবেশের অনুমতি দিল? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর এখনও পায়নি!

আমি নাসিরনগরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে সেদিন বলেছিলাম, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক, চাই সে যেই হোক।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থানই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সিন্ডিকেট করে অনুসন্ধানের নামে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জেলা আওয়ামী লীগের দিকে অভিযোগ করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাথে মন্ত্রী মহোদয়ের মতপার্থক্যের সাথে এই সাম্প্রদায়িক ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা তিনি এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা কর্মীই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে তিনি ও জেলা আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে নাসিরনগরের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখির সংগে আপনার সম্পর্ক আছে, চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখির ইন্ধনে এসব ঘটেছে এমন প্রশনের জবাবে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আতিকুর রহমান আখি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে, সেও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মী। একজন জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতির সংগে অন্যান্য নেতাকর্মীদের যেটুকু সম্পর্ক আমার সঙ্গেও তার ততটুকু সম্পর্ক। তা ছাড়া আখির মনোনয়ন দেয়ার সময় আমি দেশে ছিলাম না। সব মেনে নিয়েও আমি বারবার বলছি, চেয়ারম্যান আখিও যদি ঘটনায় জড়িত থাকে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। কোনভাবে অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানেন না, অথচ ঢাকায় বেশ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, জামাত-বিএনপি মদদপুষ্ট কয়েকটি মিডিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অকার্যকর করার জন্যই বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। জামাতি মিডিয়া আজ ওঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামীলীগকে সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য।

গত কদিন আগে একটি সংবাদ হুবহু কয়েকটি মিডিয়া প্রকাশ করেছে। সামান্য রদবদলও নেই এসব প্রতিবেদনে। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সিন্ডিকেট করে এসব সংবাদ প্রকাশ করছে বলেও মনে করেন এই সাংসদ। এবিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো চরম মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যমূলক ।

জেলা আওয়ামীলীগ এখনও কেন ঘটনার তদন্ত করছে না? এমন প্রশ্নে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামীলীগ তদন্ত টিম কাজ করছে, কিন্তু জামায়াত বিএনপির মদদপুষ্ট মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক অনুসন্ধান ও মিথ্যাচারের কারণে তদন্ত বারবার বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।






Shares