বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাদক ব্যবসায়ী ভাগিনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবেশীকে গালমন্দ করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ফখরুল খানকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের সরকার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা ফখরুল খানের চাচাতো ভাগিনা পারভেজ তাদের বাড়িতে থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ অক্টোবর ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে আদালতের মাধ্যমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ফখরুল খান ইমামনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও তার বাড়ির লোকজনদের দোষারোপ করে গালাগাল করলে রোববার গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনার জেরে রোববার সকালে একই গ্রামের বেপারি বাড়ি ও খান বাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফখরুল খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাদক ব্যবসায় সহায়তার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, অন্যায়ভাবে তারা আমাকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইমামনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও মাতব্বর আবুল কাশেম বলেন, ফখরুল একজন বেয়াদব ছেলে। সে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে তার বাড়িতে রেখে চাচাতো ভাগিনা পারভেজকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পারভেজকে ইয়াবার চালানসহ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনার জন্য ফখরুল আমার বাড়ির লোকজনকে দোষারোপ করে গালাগাল করায় ছোট ছোট ছেলেরা রাগারাগি করে ফখরুলকে মারধর করেছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিউল আলম টিপু বলেন, ইমামনগরে ফখরুল তার চাচাতো ভাগিনাকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করায়। আর পুলিশ তাকে ধরার কারণে সে গ্রামের ভালো ভালো লোককে দোষী করে গালাগাল করছিল। গ্রামের সবাই যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে, সেখানে ফখরুল মাদকের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় গ্রামবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছেন।