এসএসসি পরীক্ষা:: বাঞ্ছারামপুরে প্রতারণার দায়ে দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
ডেস্ক ২৪:: বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের এক কক্ষে সিট প্ল্যান জালিয়াতির অভিযোগে ২ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এক কক্ষে এমন জালিয়াতি করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযোগ উঠার মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও ধর্ম শিক্ষক আবুল হোসেন। এছাড়া এ ঘটনার পুন:নিরীক্ষণ না করায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে সতর্ক করা হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর-১ নামে ওই কেন্দ্রের সচিব ও প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার নিজ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিতে সিট ট্যাম্পারিং করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সেখানকার ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন সরদারকে দায়িত্ব দেন।
তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার কথা স্বীকার করে মামুন সরদার বলেন, ওই বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা আগের সিট পরে, পরের সিট আগে-এমনভাবে আসন বিন্যাস করেন। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনের বিরুদ্ধে তিনি ইউএনও’র কাছে প্রতিবেদন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দু’জন সহকারী শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই কেন্দ্রে বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও উজানচর কেএন উচ্চ বিদ্যালয়, সলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও আশ্রাববাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ১ ফেব্রয়ারি (সোমবার) বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রের ১২ নম্বর কক্ষে সিট ট্যাম্পারিং করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই খাজা আলামীন বলেন, সিট ট্যাম্পারিং বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া বিষয়টি পুন:নিরীক্ষণ না করায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে তিরস্কার করা হয়েছে।