অটোচালকেরা ফের আন্দোলনে
ডেস্ক ২৪:: কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় বাড়ানো এবং হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে গতকাল শনিবার ধর্মঘট পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। সকাল আটটা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেন তাঁরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।
কয়েকজন অটোরিকশাচালক জানান, বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-গৌরীপুর, হোমনা-মেঘনা, হোমনা-মুরাদনগর, পেন্নাই-মতলব-বাবুরহাট সড়কে প্রায় সাত হাজার অটোরিকশার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গৌরীপুর এলাকার দুটি সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়া হয়। সরকারনির্ধারিত সময় সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত গ্যাস নিতে পারেন চালকেরা। নির্ধারিত সময়ের একটু হেরফের হলেই অটোরিকশা আটকের পর হয়রানি করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পুলিশ। একই দাবিতে অটোরিকশার চালকেরা ১৫ জানুয়ারি উল্লিখিত সড়কগুলো অবরোধ করে রেখেছিলেন।
অটোরিকশাচালক আল আমিন বলেন, ‘হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকশার জন্য দুইটা পাম্প (স্টেশন) থেকে দুই ঘণ্টায় গ্যাস নেওয়া সম্ভব না। সিরিয়াল দিয়া গ্যাস নিতে গিয়া একটু সময় বেশি হলেই গাড়ি আটক কইরা নিয়া যায় হাইওয়ে পুলিশ। আর এই সবের প্রতিবাদে বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে আজ (গতকাল) সকাল আটটা থেকে আমরা এক দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো বন্ধ রাখছি।’
গৌরীপুর এলাকার চালক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর-হোমনা থেকে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা গৌরীপুরে আইজ আসে নাই, গৌরীপুর থেকে হোমনার ভাড়া ৪০ টেকা আর গাড়ি কম থাকায় ভাড়া ১০ টেকা বেশি নিতাছি।’
যাত্রী আলাউদ্দিন বলেন, ‘কথায় কথায় সিএনজিচালিত চালকেরা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। বাঞ্ছারামপুরের গাড়ি তো নাই। তাই ভেঙে ভেঙে বেশি ভাড়া দিয়া হোমনা আইছি।’
সরেজমিনে বেলা একটার দিকে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর সেতু এলাকার হোমনায় গিয়ে দেখা গেছে, স্ট্যান্ডে কোনো অটোরিকশা নেই। প্রায় অর্ধশত যাত্রী বাঞ্ছারামপুর যেতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব বলেন, গৌরীপুর এলাকার সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবিতে বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-গৌরীপুর সড়কে অটোরিকশা সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-গৌরীপুর সড়কে অটোরিকশা বন্ধ থাকার কথা আমার জানা নেই।’