ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরে পাঁচ মন্দিরে হামলা: আটক সাত
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো লালপুর এলাকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর জানান, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামে দেবাশীষ দাস সোহেল নামে একযুবকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (স.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর ওই দিন বিকেলে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় একদল লোক। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন রাতে আশুগঞ্জ থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক আইনে মামলা হয়। পরে ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গেফতার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দাসগুপ্ত জানান, এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় লালপুর গ্রামে লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে একদল লোক। পরে শুক্রবার দিবাগত রাতে একযোগে লালপুর গ্রামের টানপাড়া, দাসপাড়া এবং কান্দাপাড়ায় লোকনাথ মন্দির, কালীমন্দির, রামঠাকুরের মন্দির, দয়াময় মন্দির ও অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর লালপুর গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, মন্দিরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, মন্দিরে হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।