আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছি, কাজটা করে দিও
হ্যালো, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলছি, ওকে পাঠালাম, কাজটা করে দিও। কিছু বুঝে উঠার আগেই মোবাইলের সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে যে কেউ ভাবতেই পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কারও জন্য টেলিফোনে তদবির করছেন। কিন্তু এ অপকর্মটি করছে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তার সহধর্মিণী ও পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে এভাবেই তদবির বাণিজ্য চালাচ্ছে। কখনো সরাসরি অথবা ভুয়া টেলিফোন করে স্বাস্থ্যসেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি, ব্যবসা, টেন্ডার ও আর্থিক অনুদানের নামে লাখ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করছে।
প্রথমদিকে মুখ না খুললেও সম্প্রতি তদবিরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় ভুক্তভোগীদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের প্রেক্ষিতে বিষয়টি মন্ত্রীর ঘনিষ্টজনদের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। বহুজনের কাছ থেকে একই অভিযোগ পাওয়ার পর টনক নড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, এক শ্রেণির প্রতারক চক্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তার সহধর্মিণী এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে সরাসরি অথবা ভুয়া টেলিফোন করে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছে যা মন্ত্রীর নজরে এসেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবার থেকে কোনো ধরনের তদবিরকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। তাই এ ধরনের কোনো টেলিফোন বা ব্যক্তিগত তদবির হলে সঙ্গে সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলো।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তার সহধর্মিণী বা পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে কোনো ভুয়া তদবির থেকে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।