নবীনগরে দু’জন সিধেল চোর আটক। মালামাল উদ্ধার
নবীনগর পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে দু’জন সিধেল চোরকে আটক করেছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মোছাঃ রহিমা বেগমকে তাহার মা তাহাকে দেখার জন্য বেড়াতে আসে। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে রাত্র অনুমান 10.00 ঘটিকার সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন 07/12/15ইং তারিখ ভোর অনুমান 04.30 ঘটিকার সময় রহিমা বেগম তাহার মায়ের স্বয়ন কক্ষে সুকেচ খোলার শব্দ পাইয়া মায়েরর কক্ষে যাওয়ার সময় একজন লোক দরজা খুলিয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। রহিমা বেগম তাহার মাকে ডাকা ডাকি করিলে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বাড়ীর অন্যান্য লোকজনকে ডাকা ডাকি করিলে বাড়ীর লোকজন রহিমা বেগম এর ঘরে গেলে লোকজনদের উপস্থিতিতে রহিমা বেগম তাহার মা রাজিয়া খাতুনের নাকের কাছে অচেতন নাশক ঔষুধ মিশানো কিছু তুলা দেখতে পায়।রহিমা বেগম জানান যে, 06/12/15 ইং তারিখ অনুমান 10.00 ঘটিকার সময় হইতে 07/12/15 ইং তারিখ ভোর অনুমান 04.30 ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাত নামা চোর বা চোরের বসত ঘরের সিঁধ কাটিয়া ভিতরে প্রবেশ করতঃ তাহার মা রাজিয়া খাতুনের নাকে অচেতন নাশক ঔষুধ দিয়া ঘরে থাকা সর্ব মোট 17,500/- টাকার স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট চুরি করিয়া নিয়া যায়। রহিমা বেগম তাহার মায়ের কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রাজিয়া খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন। রহিমা বেগমের উক্তরূপ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত নামা চোর এবং চোরদের বিরুদ্ধে নবীনগর থানার মামলা নং-০৭, তাং-৭/১২/১৫ ইং রুজু করা হয়। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর হইতে ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম এর নেতৃত্বে এস আই মোঃ রেজাউল করিম অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৭/১২/১৫ তারিখ রাত্র অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত মামলার ঘটনার সহিত জড়িত সম্পৃক্ত কিশোর অপরাধী ১। মোঃ ছাইম (১৬) পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম মাতা-মৃত রৌশনা বেগম, থানা-কসবা জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেফতার করেন। কিশোর অপরাধী ছাইম এর স্বীকারোক্তি ও প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক ৮/১২/১৫ ইং তারিখ ঘটনার সহিত জড়িত আসামী ২। মোঃ মানিক (২০) পিতা-গাজী মিয়া, মাতা-পারুল বেগম, সাং-পুরান শ্রীরামপুর পূর্ব পাড়া ৩। মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) পিতা-মৃত নুরু মিয়া সাং-নারায়নপুর উভয় থানা-নবীনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। উপরোক্ত আসামীগনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা সকলে মামলার ঘটনার সহিত সম্পৃক্ত ছিল বলিয়া স্বীকার করে। এস আই রেজাউল করিম আসামীদের হেফাজত হইতে চোরাই যাওয়ার একটি রূপার চেইন এবং দুইটি স্বর্ণের কানের রিং উদ্ধার করেন। আসামীদেরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।