নবীনগরে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই প্রতিপক্ষকে হামলা



নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও একের পর এক দাঙ্গা হাঙ্গামার ঘটনা কোনোভাবেই যেন থামছে না। থানাকান্দি ও দুবাচাইলে সংঘটিত দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী মারামারির ঘটনার রেশ না কাটতেই শুক্রবার ভোরে ডোপাকান্দা গ্রামে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে আনা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূ্ত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোপাকান্দা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে মুক্তিযাদ্ধা আজহারুল ইসলাম লালু ও সর্দার কানু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলে। ওই বিরোধের জের ধরে গত দুই মাস আগে প্রতিপক্ষের একটি নারী নির্যাতনের মামলায় কানু মিয়া সর্দার জেলে যায়।
এলাকাবাসী জানান, গত দুদিন আগে কানু মিয়া জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে গ্রামে এলে উভয় গ্রুপে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় হান্নান মিয়া (৪৫), মশিউর রহমান (১৪), সহিদ মিয়া (৬৫), লাল চাঁন মিয়া (৪৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্তাক্ত অবস্থায় আনা হয়। খবর পেয়ে নবীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি।