নবীনগরে চাঞ্চল্যকর পা কেটে মোবারক হত্যা মামলার প্রধান সহযোগী জুয়েল গ্রেফতার



মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চাঞ্চল্যকর পা কেটে মোবারক হত্যা মামলার প্রধান সহযোগী আসামি জুয়েল মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪) ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে বিষয়টি জানান (র্যাব ১৪) ভৈরব ক্যম্পের সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ। তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটি গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে
গত ১২ এপ্রিল থানাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক দফায় চলা ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করেন আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।