উপজেলা প্রসাশনের নিকট ১৩ টি মাথার খুলি ও ২৫টি হাড় স্থানান্তর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুরে শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য এড: শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন, নবীনগর থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সকল সদস্য, স্থানীয় প্রসাশন, পুলিশ প্রসাশন ও সাংবাদিক সম্মিলিতভাবে বধ্যভূমি উদ্ধারের স্থানে উপস্থিত হয়ে ১৩ জন বাংঙ্গালীর মাথার খুলি ও ২৫টি শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পরিদর্শন করেন। এই সময় এলাকার হাজার হাজার উৎসুক জনতার সমাগম ঘটে। গতকাল রবিবার স্থানীয় প্রেস ক্লাবে উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো: শামছুল আলম সরকার লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,দুর্ভাগ্যজনক যে মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব:) এ.বি.এম তাজুল ইসলাম এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: জিয়াউল হক সরকার নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করলেও নবীনগর এলাকায় অবস্থান করা সত্বেও বদ্ধভূমিতে নিহত ১৩ জন বাংঙ্গালীর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কল্পে বধ্যভূমিটি পরিদর্শন করেন নাই। এই ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বিষ্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আশা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী তিনি যদি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে থাকেন তবে অতি শীঘ্রই শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে ইব্রাহিমপুর বধ্যভূমি পরিদর্শন করবেন। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বধ্যভূমি হতে পাওয়া ১৩টি মাথার খুলি ও ২৫টি শরীরের বিভিন্ন অংশ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডারের মাধ্যমে উপজেলা প্রসাশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।