নবীনগরে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর গণ-কবরের সন্ধান- স্থানীয় এমপির পরিদর্শণ



নবীনগর প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর পূর্ব বিলে মাটি কাটার সময় স্বাধীনতার ৪০ বছর পর আরও একটি গণ-কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে । ওই ¯হান থেকে মানুষের ১৩টি মাথার খুলি সহ শরীরের বিভিন্ন অংঙ্গের হাঁড় উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয় এমপি এড: শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন সহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জানাযায়, উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের মনু সুবেদার ওই বিলের সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে মেশিনে মাটি কাটার সময় শ্রমিকরা প্রথম দিন দুটি মাথার খুলি পেয়ে ¯হানীয় কবরে মাটি চাপা দেয়। শুক্রবার (৬/৪) ওই গর্তে মাটি কাটার সময় আবারও ১২টি মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের হাঁড় পাওয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই দিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল ইসলাম মেহেদী স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এই খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় এমপি এড: শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন ও উপজেলা প্রশাসন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করেন। এই স্থানটিকে গণকবর হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এলাকাবাসি সরকারের কাছে দাবী করেন।
এ বিষয়ে ওই গ্রামের আবু তাহের খন্দকার (৭৮) বলেন, সংগ্রামের সময় হাত-পা বাঁধা অব¯হায় ওইখানে অনেক লাশ দেখেছি । লাশগুলো পচে গিয়েছিল সে কারনে লাশের নাম বলতে পারবনা।
ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরী বলেন, আমি নিজেও দেখেছি এইখানে লাশ ভাসতে, যুদ্ধের সময় ইব্রাহিমপুর গ্রামে পাক বাহিনী আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এখানে যে মাথার খুলি ও হাঁড় পাওয়া গেছে এগুলো মুক্তিযোদ্ধের সময়কারই হবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড শামছুল আলম শাহন ও ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোনায়েম চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর পর উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের হাঁড় গুলি যেখানে পাওয়া গেছে ওই জায়াটি গণ-কবর হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ এড: শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন বলেন, যুদ্ধকালীন সময় রাজাকারদের হাতে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাথার খুলি ও বিভিন্ন অঙ্গের হাড় গুলি সংরক্ষনের জন্যে যাদুঘরে পাঠানোর ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ঐ স্থানটিকে গণকবর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।