নবীনগরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন। শাশুড়ী ও মেয়ে আহত



নবীনগর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্বামীর হাতে নির্মম ভাবে স্ত্রী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে নিজঘরে স্ত্রীকে ধ্রাালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শাশুড়ী ও মেয়েকে আহত করে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (৩০/১০) দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় দিকে উপজেলার জিনদপুর গ্রামে। নিহত স্ত্রীর নাম সুর্বনা আক্তার(৩৫) স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৪২)। স্থানীয়রা মুমর্ষ অবস্থায় আহত শাশুড়ী মরিয়ম বেগম (৬০) ও মেয়ে মারিয়া বেগম (১৫) দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে প্রেরণ করে। কতর্ব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ বলছে,পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। দিনে দুপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি এলাকার সাধারণ মানুষের মনে এক ভীতির সৃষ্টি করে। ভয়ে কোন মানুষ মুখ খুলতে চাইছে না। জানা যায়. প্রায় ১৮ বছর আগে নবীনগর উপজেলার পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার পীর কাশিমপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ে সুর্বনা আক্তারের সাথে দেলোয়ারের বিয়ে হয়। এই দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের ঘরে দুই ছেলে দুই মেয়ে জন্ম নেয়। বড় মেয়ে মারিয়া বেগম (১৫), ফারজানা (১২), ছেলে নূর নবী (৯) ও ছোট ছেলে আমীর হোসেন (২)। ছোট মেয়ে ফারজানা জানায়, সকালে তাদের বাব মা’র মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। সেই ঝগড়া সুত্র দুপুরে বাবা উত্তেজিত হয়ে দা দিয়ে মাকে এলোপাতারি কুপাতে থাকে । এসময় আমার নানু ও বড় বোন মারিয়া মাকে বাচাঁতে গেলে তাদেরকে ও কুপাতে থাকে। তাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি আসতে থাকলে বাবা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ রাজু আহম্মদ বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলামর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধর্ইে এর হত্যাকান্ড ঘটেছে।