Main Menu

নবীনগরে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে ওসি’র উদ্দ্যোগ

+100%-

20160128_110219এস এ রুবেল।।নবীনগরে এখনো অহরহ বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটছে। বাল্য বিয়ে আইনত সিদ্ধ নয়। তা জেনেও তা রোধ করা যাচ্ছেনা কেন? বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটার পেছনে অনেকগুলো কারন দাড় করানো যায়।অল্প বয়সে প্রেমঘটিত ব্যাপারে অনেক শিক্ষার্থী জড়িয়ে পরে যা পারিবারীক দিক দিয়ে মানসম্মান বাচানোর চিন্তায় তারা বাধ্য হন অল্পবয়সী ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে।
বাল্য বিয়ের ঘটনাগুলো বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীদের বেলা ঘটতে দেখা যায়। এছাড়াও এখনো অনেকেই অজ্ঞতা হোক আর যৌতুকের লোভেই হোক তারা তাদের অল্পবয়সী ছেলেদের বিয়ের পিরিতে বসাচ্ছেন।এতে করে কম বয়সী একটা শিশু আরেকটা শিশুর পিতা হচ্ছেন। তাতে উভয়ে স্বাস্থঝুকিতে থাকছে।Screenshot_2016-01-28-14-20-57
এছারাও ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েও অনেকেই স্কুল ছাড়তে বাধ্য হন, সবশেষে এখানেও বাল্যবিবাহের একটা যুগসুত্র থাকে। একটা সময় ছিল স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাড়াত বখাটেদের উৎপাত। যা নিরবে সহ্য করা ছাড়া কোন গতি ছিল না। অনেকেই এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে শ্লিলতাহানী কিংবা বখাটেদের ছোড়া এসিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

সরকার এখন এ ব্যাপারে ব্যাপক সোচ্চার। ইভটিজিং এখন নিরবে সহ্য করার বিষয় নই।তা প্রতিবাদের মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ইভটিজারের বিরুদ্ধে সবাইকে রোখে দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে। তাছাড়াও তাৎক্ষনিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা করার আইন চালু আছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন মাদক নিয়ে। যুব সমাজ মাদকের ছোবলে ঝিমিয়ে পরছে, হাত বাড়ালেই মিলে মাদক, সহজলভ্য হওয়ায় এতে আসক্ত হয়ে পরছে শিক্ষার্থীরাও। এতে করে দেশ ও জাতি ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কতটুকুইবা আশা করতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে উঠতি বয়সি ছেলে মেয়ের হাতে মোবাইল ফোন তাদের চিন্তা চেতনাকে একদাপ এগিয়ে দিয়েছে। ফেইসবুক, ইউটিউব, নিষিদ্ধ সাইট ব্রাউজ কোন বিধি নিষেদাজ্ঞা না থাকায় তা ব্যবহার হচ্ছে অবাধে। উন্মুক্ত বিচরনে অনেকে আবার সাইবার ক্রাইমেও জড়িয়ে পরছে। সুশিল সমাজ মনে করেন ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভাল খারাপ উভয়দিক না বোঝার কারনে অনেকেই বখে যাচ্ছে। উদাহারন সরুপ সন্ত্রাসী ছুরি দিয়ে মানুষ কাটে ডাক্তার ওই কাটা স্থান জোরা লাগাতে ছুরি ব্যবহার করে।

20160128_102937এখন কথা হল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি চলমান কিছু বিষয়ের উপর সজাগ থাকতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। লোকচক্ষুর আড়ালে যা করতে হয় তা থেকে বিরত থাকতে হবে।মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে নিজেকে সড়িয়ে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আজকাল অনেকেই ফেইসবুকে ছদ্ধনামে অপ্রতিকর পোস্ট কিংবা ছবি আপলোড দিচ্ছে। যা কিনা সাইবার গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর ফলসরুপ ভবিষ্যত অন্ধকার। এখনই সময় ভাল বিষয়গুলো শিখার, চিন্তাধারা থাকবে সুউচ্চ তাতে করে জীবনে সম্মানজনক গন্তব্যে পৌছতে আর কারো নিচে তাকাতে হবে না।

নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ (পিপিএম) প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক প্রাপ্ত।উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে দিক নির্দেশনা ও সচেতনতা মূলক বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়গুলোর ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ের উপর বক্তব্য নেয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অফিসার ইনচার্জ নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল (২৮/১) শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সচেতনতামুলক সভা শেষে এলাকায় এক বিশাল মাদক বিরোধী র‌্যালি বের হয়।

এছাড়াও গত তিন মাসে প্রায় ২০টির মত স্কুল, কলেজে গিয়ে সভা করেছেন। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছেন, আবার কিছু কিছু বিষয়ের উপর বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ওসির ব্যতিক্রমধর্মী দিক নির্দেশনা মুলক কাজগুলো সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুরিয়েছে।






Shares