নবীনগরে মুক্তিযোদ্ধার লাঞ্ছনা হওয়ার ঘটনায় বিকালে সংবাদ সম্মেলন সন্ধ্যায় মিটমাট
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাকালিন কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম লালুকে নবীনগর থানার ওসি কাছে লাঞ্ছনা হওয়ার ঘটনায় ২৫ মার্চ বুধবার বিকেলে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের ওইদিন সন্ধ্যায়ই নবীনগর থানায় বিষয়টি আবার মিটমাটের খবর পাওয়া গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম লালু তার লিখিত বক্তব্যে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জরুরী কাজে হাসপাতালের এক ডাক্তারের এর সাথে সাক্ষাৎ করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে চলে আসার সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান আমকে ডেকে তার অফিসে নিয়ে যান। সেখানে কথাবার্তার সময় তাদের গ্রামের একটি বিষয়ে কথা হয়। ঠিক সেই মুহুর্তে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ রহিস মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় হেফাজত নেতা মেহেদী হাসান ও মো. ফারুক পিতা মজিবুর রহমান,মো. সামছুল হক পিতা কানু মিয়া, জিল্লু মিয়া পিতা কানু মিয়া ও কতক সহযোগীসহ হাসপাতালের ওই অফিসারের রুমে ঢুকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হত্যার হুমকি দেয়।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় এর রুমে ঢুকতেই তিনি কোন সৌজন্যবোধ না দেখিয়ে কেন এসেছেন, কিসের জন্য এসেছেন,এমন কোন কিছু জিঞ্জসা না করেই সরাসরি“আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, কেমন জাতের মুক্তিযোদ্ধা,ছিঃছিঃ এখান থেকে বের হন বলে তাকে বের করে দেন। সেই মুহুর্তে ওই হেফাজত নেতা মাওলানা মেহেদী সেই ওসির সাহেবের সাথে ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম লালু জানান, ঘটনাটিকে নিয়ে দু:খপ্রকাশ করায় দেশের সার্বিক পরিস্থীতি বিবেচনায় বিষয়টি মিট মাট হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাওলানা মেহেদী হাসান বলেন, গ্রামের একটি মামলা বিষয়ে নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে হাসপাতালে সামান্য তর্কবির্তক হয়েছে আমি সেখানে ছিলাম মাত্র।এতেই আমার নাম জোরে দেওয়া হয়েছে। যা সত্যিই দু:খজনক।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় জানান, বিষয়টি একটি ভুল বুঝা বুঝি হয়েছিলো মাত্র,ঘটনারটির মিমাংসা হয়েছে।