নবীনগরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গচুর। দুই আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার
মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় অবশেষে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মো. রহিছ মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নবীনগর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ফোরকান উদ্দিন মৃধা (৪৫) ও নবীনগর পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুলল মোমেন (৩৮)।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে থাকা উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলাকারিরা দলীয় ওই কার্যালয়ে থাকা মালামাল তছনছ ও লন্ডভন্ড শেষে এক পর্যায়ে কার্যালয়টিতে সাঁটানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার একটি অনুষ্ঠানে নব্য এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বক্তব্য না দেওয়ার জের ধরেই ওই নেতার অনুসারীরা রাতে দলীয় ওই কার্যালয়টিতে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন যুবলীগ নেতা বলেন, ‘শ্রমিকলীগ লীগের ওই কার্যালয়টি রাতের বেলায় প্রতিনিয়ত মাদকের আস্থানায় পরিণত হয়। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত মদপানসহ মাদকের আসর বসে বলে জানান তারা।
তবে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা আবদুল মোমেন বলেন, “আমাকে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি চক্র মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে, আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।’
এ বিষয়ে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ধৃতদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল মুঠোফোনে বলেন, ‘জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যারা ভেঙ্গেছে, তারা যে দলই করুক, হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের জন্য বৃহস্পতিবার পুলিশকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম।”