নবীনগরে নৌকাডুবে দুই জেএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু : বীরগাঁও স্কুলের অধ্যক্ষের দায়িত্বে অবহেলাসহ ৫ কারণ দায়ী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার পাগলা নদীতে নৌকাডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। তদন্তে বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করা এবং নদীতে মাছের ঘেরসহ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক রেজত্তয়ানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজির হোসেন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি বলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতিয়মান হয়েছে। নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এলাকার তিতাস ও পাগলা নদীপথে কুচুরিপান, গাছ ও ডালপালা দিয়ে অবৈধভাবে তৈরি করা মাছ ধরার ঘের বা খেউয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে। কৃষ্ণনগর এলাকায় পাগলা নদীর উপর নির্মিত সেতুর নিচে পিলার সংলগ্ন এলাকায় পানির নিচে পুতে রাখা গাছের ডাল ও স্টিলের পাইপের বিষয়টিও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা নদীতে থাকা মাছের অবৈধ ঘের বা খেউ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে প্রশাসন মামলা দায়েরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। তাছাড়া মাছের ঘের দ্রুত সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপথে যাত্রীবহনকারী নৌকাগুলোর ফিটনেস যাচাই করার জন্য বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে আটটার দিকে নবীনগর উপজেলার পাগলা নদীতে বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় শতাধিক জেএসসি পরীক্ষার্থী নিয়ে নৌকাডুবে নাদিরা আক্তার ও সোনিয়া আক্তার নামে দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়।