নবীনগরে নৌকাডুবি, ২ জেএসসি পরীক্ষার্থীর :: শিক্ষকদের অবহেলাই দায়ী, শাস্তির দাবি স্বজনদের(ভিডিও)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জেএসসি পরীক্ষার্থীের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০জন। নৌকা ডুবির ঘটনায় স্কুল শিক্ষকদের অবহেলাকেই দায়ী করছে স্বজনসহ স্থানীয়রা। নদী পারাপারের জন্য জন প্রতি ৩শ টাকা করে নেয়া হলেও তাদের প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি। এক সাথে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত পরীক্ষার্থী নৌকাতে উঠানো হলে এ দূর্ঘটনা ঘটে বলে স্বজনরা দাবী করেছেন। তারা ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন। বিক্ষোভ করেছে কৃষ্ণনগর স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মনিরুজ্জামান পলাশের প্রতিবেদন ।
বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পাগলা নদীতে জেএসসি পরীক্ষার্থীের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন।
নিহত দুই পরীক্ষার্থী হলো নাদিরা আক্তার ও সোনিয়া আক্তার।
নাদিরা আক্তার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমোজা গ্রামের সৈয়দ হোসেনের মেয়ে এবং সোনিয়া আক্তার একই ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ে।
বীরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০০ জনের মত পরীক্ষার্থী নিয়ে থানাকান্দি থেকে একটি নৌকা কৃষ্ণনগর রওনা হয়। তাদের পরীক্ষার আসন পড়েছিল কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজে। থানাকান্দি থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাওয়ার সময় বাক নিতে গিয়ে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্দ স্বজনরা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শিক্ষার্থী কাছ থেকে নদী পারাপারের জন্য ৩০০ টাকা করে নিয়েছে। যেখানে একটি নৌকা ৫০/৬০জন যাত্রী ধরার কথা তারা কি ভাবে ১০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী উঠালেন। নৌকাটিতে তখন কোন শিক্ষক ছিলনা বলে জানান তারা।
একাধিক স্বজন জানান, নৌকাটি রওয়ানা করার সময় অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে চলতে গেলে তারা বাধা দেন তাদের সে বাধাও স্কুল কর্তৃপক্ষ শোনেননি। তারা দোষিদের শাস্তির দাবি জানান।
নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহহীন তানভীর গাজী বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জেপি দেওয়ানকে প্রধানকরে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, আমরা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছি। নিহত দু, জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতার করা হবে। আর আগামী পরীক্ষা থেকে প্রতি নৌকাতে একজন করে শিক্ষক থাকবেন। আমরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করব।