নবীনগরে জোড়া খুনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মিলন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কাউছার গ্রেপ্তার



মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) ভোররাত তিনটার দিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামের জোড়া খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত ।এদিকে একই গ্রামের মিলন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবু কাউছার কে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত ।
নবীনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালের একটি হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও মিলন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবু কাউছার কে পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের গোষ্ঠিগত বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মিয়া (৫৫) ও তার চাচাতো ভাই দুলাল মিয়া (৬০) প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। ওই ঘটনায় নিহত জয়নালের ছেলে শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ২ নেতা কে গ্রেপ্তারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থি দেখা গেছে। সাধারণ জনগণ বলছে আমরা আর ন্যক্কারজনক হত্যাকান্ডে মারামারি থেকে বাঁচতে চাই আদি যুগ থেকে ফিরে বর্তমান জগতে ফিরতে চাই।