Main Menu

নবীনগরে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের মার খেলেন ২ পুলিশ

+100%-

police
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের দু’সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের আলীয়াবাদ বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। এমন খবর প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমানের ছোট ভাই জিয়া বেপরোয়াগতিতে হোন্ডা চালিয়ে আসার সময় পুলিশ তাকে থামার সংকেত দেয়। এতে সে ক্ষিপ হয়ে কর্তব্যরত এসআই উজ্জলের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার কলার টেনে ধরে এবং ঘুষি মারে। সাব-ইন্সপেক্টর উজ্জলের সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলকেও জিয়ার ঘুষি হজম করতে হয়। এ ঘটনার পরও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু হোন্ডাটি আটক করে থানায় নিয়ে চলে আসে।

তবে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেছেন হোন্ডাটি আটক করার পর কনস্টেবলের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরে তার হোন্ডাটি আটক করা হয়েছে।

থানার ভেতরে আওয়ামী লীগের এক নেতা আরেক নেতার ওপর হামলা করার ঘটনার একদিন পরই ঘটলো এ ঘটনা।

শনিবার এমপি’র কাছের লোক হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান নবীনগর থানার ভেতরে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আমিনের ওপর হামলা করেন। একটি দোকান ভিটির জায়গা নিয়ে রহমান ও খায়রুলের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ঐদিন এর নিষ্পত্তির জন্য থানায় দু’পক্ষের বৈঠক বসলে সেখানে রহমান এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর গতকাল রহমানের ভাই পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। এমপি’র কাছের লোক বলে রহমান ও তার দলবলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পুলিশ। নানা ঘটনায় আলোচিত রহমান গংদের তোয়াজ করেই চলতে হচ্ছে এ থানার পুলিশকে।






Shares