Main Menu

নবীনগরের সেতু নয় যন মরন ফাঁদ,২২ বছরে ৪ জনের মৃত্যু!

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর পৌরএলাকার ১নং ও ২নং ওয়ার্ড সহ ১০গ্রামের মানুষের চলাচলে জন্য নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা দখার কউ নেই। গত ২০/২৫ বছরে এই ভাঙ্গাচোরা সেতুর উপরে গাড়ি উঠতে গিয়া এই পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে চারজন জিবন্ত মানুষ এই মরণ সেতুতে উঠত গিয় প্রাণ হারিয়ছ।

সেতুটিতে গাড়ি উঠার সময় বর্তমানে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে বহু লোক পঙ্গুত্ত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছে এই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়। মাঝে মাঝে স্থানীয়রা সেতুটির রেলিংয়ে বাঁশ নিয়ে জোড়া তালি দিলেও সাপ্তাহ পার হলে সেই আগের অবস্থায়ই ফিরে আসে।

পৌর এলাকার আলমনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ ‘আলমনগর সেতুতে মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ভাঙ্গাচোরা ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটির ওপর দিয়ে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর গত কয়েক বছর আগে সেতুর বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা উঠে গিয়ে সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি সরু এই সেতুর দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে রেলিংয়ের স্থানে বাঁশ লাগিয়ে যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সেতুটিতে উঠতে গিয়েই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

এলাকার ক্রাউন্সিলর আবু হানিফ বলেন, ‘৮৭/৮৮ সালের দিকে ভাটা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু ৫/৭ বছর আগে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পরও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকার ১০ গ্রামের মানুষ বর্তমানে এই সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।’যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন বলেন, ‘এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সেতু থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে এ পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই দ্রুত এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা না হলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘তিনি (খোকন এমপি) যখন (২০০৮-১৪) এমপি ছিলেন, এলাকাবাসীর প্রচন্ড দাবির মুখে তখনও ব্রিজটি নির্মিত হয়নি। তাই এর দায় সাবেক এমপি হিসেবে তিনিও এড়াতে পারবেন না।’

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার নবীনগরের উপজেলা প্রকৌশলী নূরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৩৫ মিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ২ কোটি টাকা লাগবে। ইতিমধ্যে এলজিইিডির প্রজেক্ট ডিরেক্টর আমার কাছে লিখিতভাবে সেতুটি নির্মাণের প্রাথমিক তথ্যাদি চেয়েছেন। আশা করছি, খুব শিগগীরই সেতুটি নতুন করে নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।’






Shares