চাঞ্চল্যকর শ্যালক হত্যাকারী দুলাভাই র্যাবের হাতে আটক



চাঞ্চল্যকর শ্যালক হত্যাকারী দুলাভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোর ইমন (শ্যালক) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ এখতেকার উদ্দিন এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ২ মার্চ জেলার নবীনগর থানার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণ বাড়ি এলাকার ধানি জমির খাল থেকে ইমন (১৩) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপস্থিত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জের ধরে ইমনের আপন ভগ্নীপতি রফিকুল পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে ০২ মার্চ রাতে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ০২। মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত রফিকুল আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীর ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের আভিযানিক দল উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে অভিযুক্ত রফিকুলের অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় এলাকা থেকে হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
রফিকুলের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ভিকটিম ইমন এর বড় বোন মনিরা বেগমের সাথে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আসামি রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে অভিযুক্ত রফিকুল মনিরার উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
অভিযুক্ত রফিকুলের নামে বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা থাকার কারণে গত ৩/৪ মাস পূর্বে মনিরা তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরই জের ধরে স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীর আপন ছোট ভাই ইমনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে।