একইদিনে একইসময়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি সভার মধ্য দিয়ে নবীনগরে আ.লীগের বিভাজন অবশেষে স্পষ্ট হলো!



মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি: একইদিনে একই সময়ে নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি জনসভা সভার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভক্তি অবশেষে স্পষ্ট হলো। সোমবার (২৫/০৩/১৯) নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ‘নৌকা’ প্রতীকে কাজী জহির উদ্দিন ছিদ্দিক টিটু ও আনারস প্রতীকে আওয়ামীলীগ নেতা মো. নাছির উদ্দিন নির্বাচনি জনসভা সভার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা ধরণের আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমানকে স্টিফেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, নানা ঘটনার পর অবশেষে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আকবর উদ্দিন ছিদ্দিকের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন ছিদ্দিক টিটুকে ‘নৌকা’ প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন (আনারস প্রতীক) এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মনিরুজ্জামান মনির নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেনঞ্জ জানিয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে (দোয়াত কলম প্রতীক) নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হন।
এ বিষয়ে করণীয় নির্ধাণের লক্ষে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও কোন সমাধান হয়নি। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে ঢাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদলের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গত শুক্রবার (২২/০৩/১৯) ওই বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকে সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তবে স্থানীয় নেতারা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের ওই বর্ধিত সভায় ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী টিটুসহ দলের একটি গ্রুপ উপস্থিত হলেও, বর্তমান সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুলের অনুসারীরা বিদ্রোহী প্রার্থী নাছির উদ্দিনকে নিয়ে ঢাকার তোপখানা সড়কে পৃথক আরেকটি বর্ধিত সভা আহবান করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নিয়াজ মো. খান ওই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে দলের মধ্যে বিভাজন সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এদিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুটি বর্ধিত সভা থেকে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত না আসায় এ নিয়ে স্থানীয় অওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন।