Main Menu

আর কখনো পাঠকের হাতে পত্রিকা তুলে দিবেন না লোকমান হেকিম চৌধুরী 

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি:: জীবনের শেষ দিনেও নবীনগর লঞ্চঘাটের নিজের একটি ছোট্ট টং দোকান থেকে পাঠকের হাতে পত্রিকা তুলে দিয়েছেন লোকমান হেকিম চৌধুরী (৭২)। দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে নবীনগরের পাঠকদের হাতে সংবাদপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
লোকমান হেকিম চৌধুরী নবীনগর লঞ্চ ঘাটে বসে দীর্ঘ প্রায় ৫৭ বছর ধরে কাকডাকা ভোরে, ঝড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে যথা সময়ে নবীনগরের পাঠকদেরকে সংবাদপত্র পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।একটা সময় দেশের ও বিদেশের খবর জানার একমাত্র মাধ্যম ছিল সংবাদপত্র, আর সেই সংবাদপত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে লোকমান হেকিম চৌধুরী সাহেবের ছিল সুখ্যাতি। সংবাদপত্র কেনার জন্য লঞ্চ ঘাটে ছুটে আসতো নানা শ্রেণির সংবাদ পাঠক। তিনি নবীনগর প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ কাছে চৌধুরী নামে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় পত্রিকার নবীনগর উপজেলার একমাত্র সংবাদপত্র অ্যাজেন্ট ছিলেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও মারা যাওয়ার দিনও বিক্রি করেছেন পত্রিকা। আজ বাদ জুম্মা কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
লোকমান হেকিম চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদে শোক প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম, নবীনগর পৌর মেয়র এডভোকেট শিব সংকর দাশ,প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোহরাফ,  সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপু, জালাল উদ্দিন মনির,শাহিন রেজা টিটু,মিঠু সূত্রধর পলাশ সহ আরো অনেকেই।
মৃত্যুকালে লোকমান হেকিম চৌধুরী স্ত্রী,এক ছেলে, ৪ মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। লোকমান হেকিম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে খান জাহান চৌধুরী আইন বিভাগে পড়াশুনা শেষ করেছেন, বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় নিযুক্ত রয়েছেন।





Shares