অপহরণের ১৮ ঘণ্টার ভিতর অপহরণকারীসহ অপহৃত যুবককে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী




‘মুক্তিপণ দাবি এবং নবীনগরে ডিজিএফআইয়ের কোন দল অভিযান পরিচালনা করেনি’ এই তথ্য পাওয়ার পরপরই সক্রিয় হয়ে উঠে আইনশৃংখলা বাহিনী। দিনভর অভিযান চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কসবা রেললাইনের পাশে সীমান্ত লাগোয়া স্থান থেকে রিফাতকে উদ্ধার ও ক্যাপ্টেন পরিচয় দেওয়া রেজাউল করিম রেজাকে আটক করা হয় এবং গাড়ির নাম্বার ও ড্রাইভারের ফোন নাম্বারের সূত্রধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণের সাথে জড়িত থাকা ৮ জনকে খুলনা থেকে আটক করা হয়। খুলনা থেকে আটককৃতরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীনগর থানায় পৌঁছে নাই।
আটকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল গফুর সরদার (৩৮), মো. আলমগীর মোল্লা (২৮), মো. তৈয়বুর রহমান (২৫), মো. নয়ন আকুনজি (২২), রাজন কুন্ডু (৩৩), মাসুম বিশ্বাস (৩২), আশরাফুল কবির (২৮) এবং জাহিদুর (৩৪)।
মঙ্গলবার রাত ১ টায় কসবা থেকে নবীনগর থানায় আসার পর রিফাত জানান, মঙ্গলবার দিনভর কসবা রেললাইনের পাশে সীমান্তের কাছাকাছি মাইক্রোবাসে আমাকে বসিয়ে রাখা হয়। আমি তাদের সাথে চুক্তি করি, আমাকে ছেড়ে দিলে ২ কোটি টাকা এনে দিবো। চুক্তি মোতাবেক দুই ধাপে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়, তারা বাকি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে একটি অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। ওই অ্যাকাউন্ট নাম্বার (০২০০০১১৯৩৮৯৪৬,অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড) আমার পরিবারের কাছে পাঠালে, অ্যাকাউন্ট নাম্বারের সূত্রধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে উদ্ধার ও রেজাকে আটক করে।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় নিজ এলাকার মো: কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার সেকেন্ড অফিসার ও দায়িত্বরত ইনচার্জ আবদুল মোনাফ বলেন, অপহরণকৃত যুবককে উদ্ধার এবং ক্যাপটেন পরিচয় দেওয়া রেজাকে কসবা থেকে এবং আরও ৮ জনকে খুলনা থেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে নবীনগর আনতে রাতেই পুলিশ খুলনা রওনা দিয়েছে।